আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা- আমাগো বড়ো ভাই-রা ও আমাগো বিশ্ববিদ্যালয় লইয়া কিছু কেচ্ছা——–ভয়ে আছি । (প্রথম পর্ব)



আমাগো বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আজ প্রথম আলোর শেষ পাতায় একটি রিপোর্ট বাইর হয়েছে। শহিদুল্লাহ হল থেকে ৪৪ জন ছাত্রকে ঐ হলের সভাপতি শাহরিয়ার হোসেন মুন্না- আমাগো মুন্না ভাই ‌‌‍'প্রোগ্রামে' - পলিটিকাল প্রগ্রামে না যাওয়ার জন্য বাইর কইরা দিলেন। এটা দেশবাসীর জন্য নতুন খবর হইতে পারে- মাগার আমাগো (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গো ) লাইগ্যা কিন্তু এইডা নতুন কিছু না। কারণ এই যে পলিটিকাল বড় ভাইগোর দ্বারা হয়রানীর স্বীকার হওয়া এখন খুবই স্বাভাবিক একখান বিপার হইয়া দাড়াইছে- অনেক আগে থাইক্যা। মাগার এর কুনো সমাধান তো হয়ই না- বরং বাড়ে।

আবার আমি জানতাম যে- শুধু মাত্র বাবার সম্পত্তি ই মানুষ ভাড়া দেয়, তা থেকে অর্থ কামায়। কিন্তু আমাগো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের নেতারা কেনো জানি হলের রুম ভাড়া দিয়া টাকা কামান। মনে হয় এরা সবাইরে আপন মনে কইরা, দেশের সম্পত্তিরে বাবার সম্পত্তি ভাইব্বা এই কামডা করছে। এইডা কিন্তু আমার কাছে ভালই মনে হয়। কারণ আমরা কয় জন এমন সবকিছুরে নিজের মনে করতে পারি!! আর পারিনা দেইখ্যাই তো আমাগো দেশের এই বেহাল দশা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যে প্রয়োজনের তুলনায় আসন সংকট প্রকট- এবং দিন দিন তা প্রকটতর হচ্ছে তা আমাগো কারুরই অজানা না। কিন্তু অনেক বিষয়ই অজানা আছে। যেমন-- ছিট বানিজ্য- মানে ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ করা আসন নেতারা বাবার সম্পত্তি ভাবেন। আর শিক্ষকরা থাকেন নির্বিকার। অবশ্য তারা যে এমনই হবেন এটা স্বাভাবিক।

কারণ তাদের নিজেদের মেরুদন্ডে কশেরুকার সংখ্য প্রয়োজনের তুলনায় কিছু কম আছে। এখানে শিক্ষক হওয়ার জন্য অবশ্য অনেক শিক্ষক কয়েকটা কশেরুকা নিষ্প্রয়োজন মনে করে বাড়িতে রেখে আসেন। জিনিসটা আমি পছন্দ করি। কারণ 'যদ্যপি যদাচার' বলে একটা কথা তো আছেই আমাগো মাথার উপর। তাই ছাত্র নেতারা সাধারণ ছাত্রদের উপর কোনো অন্যায় আচরণ তারা করলে নির্বিকার থাকেন।

কারণ তারাও নেতাগোরে নিজের বড়ো ভাইয়ের ল্যাহান দেখেন। আর এই গুলার সাথে তো ক্যাম্পাসের বাইরে (আশেপাশে, কারণ এরা আবার বাইরে নিজেদেরকে খুব একটা সবল ভাবতে পারেন না। ) ও মধ্যে চাদাবাজি আছেই। আমি এইডা ও পছন্দ করি। কারণ এগোর যা লাইফ স্টাটাস ( একটা বাইক লাগবোই, নিয়মিত গ্যালাক্রি বা সাকুরা তে যাওনই লাগবো, দিনে ৩ প্যাকেট ব্যেনসন এন্ড হেজেস এর প্যাকেই লাগবই, ছোটু ভাইগোরে মারা-মারির লাইগ্যা খওয়ানো তো আছেই রেগুলার।

আরো কতো কি যে আছে তা লিখতে গেলে আমার ই স্টাটাস থাকবো না এই হানে। ) তা মেইন্টেন করণের লাইগ্যা টাকা তো আর বাপ দিবো না। বাপের উপর এতো প্রেসার দেওনের লাইগ্যা কি আর এই বয়সে মন টানে নাহি???????? সামনে পরীক্ষা পড়ন লাগবো। আমরা তো আর সবাইরে নিজের বাপ আর সবার সম্পত্তিরে বাপের সম্পত্তি মনে করতে পারি না। এর লাইগ্যা একটু পড়িগা।

কাল আবার লিখুম আরো বিস্তারিতো। দোয়া রাথবেন- যেনো বড়ো ভাইগো হাতে মাইর খাইয়া আমার এইডা লেহা বন্ধ আর পড়া-লেহারে বিসর্জন দেওয়া না লাগে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.