টাঙ্গাইলের মধুপুরের মেয়র ও বিএনপির নেতা সহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করায় তাঁর সমর্থক নেতা-কর্মীরা যে সরকারি গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
ঘটনার সূত্রপাত মধুপুরে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটা নিয়ে। বিগত নির্বাচনে ওই আসনের বিএনপিদলীয় প্রার্থী ছিলেন ফকির মাহবুব আনাম, মেয়র সহিদুল ইসলাম যাঁর অনুগত হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি কানাডাপ্রবাসী বিএনপির নেতা ভূঁইয়া গোলাম মাহবুব লতিফ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিলে স্থানীয় বিএনপিতে বিরোধ দেখা দেয়। বুধবার রাতে ভূঁইয়া গোলাম মাহবুব লতিফের সমর্থকেরা খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটতে গেলে সহিদুলের নেতৃত্বে অপর গ্রুপ তাদের ধাওয়া করে।
এ সময় মেয়র সহিদুল ইসলাম গোলাম মাহবুব লতিফের বড় ভাই ও বিএনপির নেতা আমজাদ হোসেনের বাড়ি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। ওই ঘটনায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র সহিদুলকে আটক করলে তাঁর সমর্থকেরা থানার মোড়ে ট্রাক ফেলে সড়ক অবরোধ করলে মধুপুর-ময়মনসিংহ এবং মধুপুর-জামালপুর সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। এ সময় মেয়র সহিদুলের সমর্থকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানেরসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা একটি গাড়ি ও মোটসাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
সহিদুল ইসলাম স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি জনপ্রতিনিধিও। জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব সম্পর্কে নিশ্চয়ই তিনি ওয়াকিবহাল। বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে যে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও যানবাহন জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, তার দায় তিনি কীভাবে এড়াবেন?
মেয়র হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে এলাকাবাসীর সমস্যা দেখা যাঁর দায়িত্ব, তিনিই কিনা সমর্থকদের দিয়ে সড়ক অবরোধ করিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন। এ ধরনের জনপ্রতিনিধিদের দেখে সেই পুরোনো বাংলা প্রবাদটির কথাই মনে পড়ে, ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
একই সঙ্গে যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।