বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
গত ফেব্রুয়ারী মাসে গিয়েছিলাম কক্সবাজার প্রায় ১৮ জন বন্ধু-বান্ধবী ফ্যামিলি সহ। খুব ভাল ছিল জার্নিটা। খুব মজা করেছিলাম। সীবিচে গিয়ে পানিতে দাপাদাপি করেছি খুব সাহসের সাথে।
একটা গোপন কথা জানাই, আমি সাঁতার জানি না, অবশ্য জানলেও সমুদ্রে সেই সাঁতারের কোন দাম নাই। পালাক্রমে পানিতে নামছিলাম আমরা।
আমারা একটা ইজি চেয়ার ছাতা সহ ভাড়া করেছিলাম ঘন্টা চুক্তিতে। সেটার উপর আমাদের কয়েকটি ব্যাগের মধ্যে সব শার্ট, অন্যান্য কাপড় চোপড়, স্টীল/ভিডিও ক্যামেরা, মনিব্যাগ রেখেছিলাম। আর পালাক্রমে চেয়ারে একজন করে বসছিলাম পাহাড়া দেবার জন্য।
(কক্সবাজার বীচ)
আমার বন্ধু পরাগ বসে ছিল চেয়ারের সামনের দিকে। সামনে সবার পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি দেখছিল ও। আর ছবি তুলছিল। আমি পানি থেকে উঠে এসে একটু দুরে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরিয়েছি। হঠাৎ দেখি একটা ১৭/১৮ বছর বয়সের ছেলে ভেজা গায়ে দৌড়ে এসে আমাদের ব্যাগের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। এমন একটা ভাব, এটা তারই ব্যাগ, তার জিনিস নেওয়ার জন্য সে খোঁজাখুজি করছে।
আমি কয়েক সেকেন্ড দেখলাম দুর থেকে। দেখছি ছেলেটা পুরো ব্যাগ খুঁজে যাচ্ছে। আর তার সামনে পিছন ফিরে আমার বন্ধু পরাগ বসে আছে সমুদ্রের দিকে মুখ দিয়ে।
দ্রুত পায়ে এগিয়ে গিয়ে বললাম, এই, আপনি কে? কি করেন?
(ইনানী বীচ)
আমার দিক তাকিয়ে তার মুখ রক্তশুন্য হয়ে গেলো, বললো আমার ব্যাগ এটা। আমি বললাম, এটা আমাদের ভাড়া করা চেয়ার আর এগুলো সব আমাদের। সে দ্রুত বলল, ওহ আমি করেছিলাম এটা আমার। বলেই সে দিলো এক দৌড়। আমি পিছন পিছন ডাকতেই আরো জোরে দৌড় দিয়ে হো্টেলের দিকে চলে গেলো।
আসলে ছেলেটা ছিল একটা চোর। এরকম ঘটনা সীবিচে হয় তা আগেই আমরা আমাদের এক বন্ধুদের কাছ থেকে জেনেছিলাম। আপনারা যারা কক্সবাজার যাবেন তখন বীচে বেশী কিছু নিয়ে যাবেন না যেমন রুমের চাবি, মনিব্যাগ। আর কেউ সাথে থাকলে ক্যামেরা নিয়ে যেতে পারেন। কারণ পানিতে যদি নামতে চান তবে ওগুলো পরিচিত কারো হাতে বুঝিয়ে দিয়ে নামতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।