আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি
সংবিধিবদ্ব সতকিকরণ: পুরাই উরাধূরা। নিজ দ্বায়িত্বে পড়িবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের উপাদান আছে।
আড্ডার টাইমে জামান হোটেলে গিয়া দেখি কোণার টেবিলে বইস্যা চেয়ারের উপরে এক ঠেংগ তুইল্যা শহিদ ভায়া ধুমসে গোরুর মাংস দিয়া পরোটা মারতাসে। আমার লগে লগে দেখি ড্যান্সিং মোরশেদ, অ্যান্জেল পলাশ, চান্দি মানিক আর লতা ফারমানও হাজির।
সবাই তো হেভী টাসকি খাইসে। চান্দি মানিক যারে আবার আমরা আদর কইরা CNG কইয়া ডাকি কারণ সে ইন্জিনিয়ার বইলা নামের আগে ENG. লেখে। সে কইলো: শহিদ ভায়া, তুমার পকেটে হালায় অন্যদিন দুই টেকা থাকেনা, আইজকা হালায় গোস্ত, পরটা কোপাও। শহিদ ভায়া বড় দূঃখ কইরা কইলো: মনটা বড় খারাপ। আসে।
হালার ডাক্তারের কাসে গেসিলাম, বড় কাহিল লাগে বইল্লা। ডাক্তার আমারে ১২টা টেস্ট দিসে কিসসু পাই নাই। মনে হয় জটিল কিসু হইসে নইলে এতো টেস্টের পরও কিসু পাইবোনা কেন। তাই মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা খাই। শুইন্যা মাথার মধ্য কেমুন জানি একটা জাটকা দিয়া উঠল।
এই না হইলে আমাগো শহিদ ভায়া, মাইনষে মনের দূঃখে খারাপ কত কিসু করে। আর আমাগো শহিদ ভায়া মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা চাবায়। কি গঠনমূলক চিন্তা! এর মাঝে আবার গাজি মামা হাজির। সে আবার মেডিকেলে দুইবার অ্যাডমিশন টেস্ট দিসে বইল্লা লেম্পু ডাক্তার হিসাবে নাম করসে। এইবার গাজি মামা শুরু করলো কেরামতি।
জিগাইলো: আইচ্ছা শহিদ ভায়া, তোর কেমুন কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কইলো: আমার দূর্বল লাগে তাই খালি ঝিমাই। লগে লগে CNG তার চান্দি মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে কয়: হ আমি দেখসি। হে টেম্পুর ভিতরেও ঝিমায়। তারে অফ্ করাইয়া কইলাম: আরে CNG, এখন দেশ ও জাতির কঠিন অবস্হা। শহিদ ভায়া'র কিসু হইলে দেশ ও জাতি একটা আইটেম হারাইবে।
তুই আল্লাহর ওয়াস্তে অফ্ যা। এরপরে গাজি মামা আবার শহিদ ভায়ারে জিগাইলো: আর কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কয়: পায়খানা রেগুলার না। গাজি মামারে বড় চিন্তিত মনে হইল। কিসু সময় চিন্তা কইরা গাজি মামা ক্য়: শহিদ ভায়া, আমার মনে হয় তোর মেডিসিনের ডাক্তারের কাসে না গিয়া ভেটেনারি ডাক্তারের কাসে যাওয়া উচিত। কেননা, তোর রাণীখেত রোগ হইসে।
(বাহবা গাজি মামা, মানুষের রাণীখেত রোগ আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। ) শুইন্যাই সবার মাথার তারে টুংটাং কইরা উঠল। কইলাম: কি মামা এইটা আবার কি আবিষ্কার করলা? মামা কইলো: আরে রোগের কারন ও লকখন দেখলে তো এইটা ক্লিয়ার। রাণীখেত রোগ হইলে আক্রান্ত রোগী ঝিমায়, চুনা পায়খানা করে। তো শাহিদের রোগের লগে মিল আছে।
তাই ওর রাণীখেত রোগ হইসে। এইবার লতা ফারমান কইলো: এইটা তো মানুষের জন্য একটা বিরল রোগ। মনে হয় বহুত টেকা পয়সা লাগবো। তাইলে আমরা বিরল রোগী শহিদ ভায়া'র জন্য ফান্ড জোগাড় করি। পেপারে এড দিমু " বিরল রাণীখেত রোগে আক্রান্ত শহিদ ভায়া'কে বাচাতে এগিয়ে আসুন" চান্দি মানিক কইলো: রাণীখেত রোগ কতাডা কেমুন জানি লাগে।
এইটার ইংরেজি নাম দিলে ভালা হয়। কিন্তু রাণীখেত রোগের ইংরেজি নাম কেউ জানেনা। অ্যান্জেল পলাশ কইলো: এইটা আর কঠিন কি? রাণী মানে কুইন, খেত মানে ফিল্ড আর রোগ মানে ডিজিজ। সো পুরাটা করলে দাড়ায় - কুইন ফিল্ড ডিজিজ। ব্যাপারটা সবার খুব পছন্দ হইলো।
ড্যান্সিং মোরশেদ কইলো: সব তো ঠিক কিন্তু শহিদ ভায়া'র এই রোগ হইলো কেমতে? গাজি মামা উত্তর দিলো: এই রোগের কারন হইলো অপরিস্কার থাকা। একটা মুরগি থেকে আরেকটাতে হয়। কিন্তু, আমাদের শহিদ ভায়া তো রেগুলার গোসল করে। অমনি মানিক চান্দ কইলো: আরে শহিদ ভায়ার মুরগি থেইক্যা হইসে। একবার সে কইসিলো কনট্রল করতে না পাইরা ছোটোবেলায় সে একবার একটা ডিম পাড়া মুরগি রে ......... ................................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।