সাড়ে তিন হাত চিতা
নদীর দু’পাশে ছিলে, উঠে এলে বুকের ভিতরে।
আমি কাকে দোষ দেবো? নদী না চিতার অগ্নি?
কাকে? কার দোষ? এ দোষ নদীর নয়, এ দোষ
চিতার নয়, এ দোষ আমার।
কাঠের যা প্রাপ্য ছিল, নদীর যা প্রাপ্য ছিল,
সেই প্রাপ্য ছুঁয়েছে আমাকে। আমিই সে-প্রজ্জ্বলন্ত
চিতার ললাটে চুমু খেয়ে বেদনাকে বলেছি বিলাস।
যেভাবে ডাহুক ডাকে সেইভাবে ডেকেছি নারীকে,
সে-ই আমার দোষ, সে-ই আমার প্রিয় দুর্বলতা।
আরও কাছে, বুকের ভিতরে, রক্তিম চৈতন্য, শীতে,
মস্তিষ্কের রন্ধে রন্ধে, স্নায়ুর তন্ত্রীতে এসো, তোলো ঝড়,
বৃষ্টি হোক। যেহেতু বৃষ্টি ছিল আমার কাঙ্ক্ষিত, তাই
আগুন আমাকে নিলো। যেহেতু রমণী ছিল আমার অন্তিম,
আমার যৌবন ছুঁয়ে সব নারী হয়ে গেলো কাঠ,
হয়ে গেলো চিতা।
আমি কাকে দোষ দেবো? আমি নিজে দাহ্যবস্তু হয়ে
কী করে বলতে পারি এ দোষ কাঠের, এ দোষ চিতার?
এ দোষ কাঠের নয়, এ দোষ নদীর নয়,
এ চিতা আমার প্রাপ্য। এই চিতা আমাকে মানায়।
সাড়ে তিন হাত প্রজ্বলন্ত কাঠ আমার বুকের মধ্যে জ্বলছে,
জ্বলুক; জ্বলে-পুড়ে ছাই হোক, একদিন খুলবে কপাট।
----------------------------------------------------------------------------------
# ক'দিন আগে বাড়ি ফিরে দেখি সমস্ত বাড়ি ওলট পালট। পূঁজোর আগে ঘর বাড়ি ঝাঁড়-পোজ করা নিয়ম বলে উক্ত কর্মে মামণি মহা ব্যাস্ত। বারান্দায় দেখি রাজ্যের পুরণো কাগজ । তার পাশেই দেখি ময়লা কাগজের আরেক ঠিকি..কি মনে করে ওখান থেকে একখান ছেড়া কাগজ হাতে নিয়ে দেখি বেশ কয়েকটি কবিতা...সম্ভবত শাড়ির ভাঁজের কাগজ।
ছাপাখানার অসম্পূর্ণ বইয়ের পৃষ্ঠা। ভাল লেগে গেলো কবিতা গুলো পড়ে..কিন্তু কবির নাম কোথায়..? আমার পড়া শুনা এতই কম যে আঁন্দাজ করাও সম্ভব নয়। হয়তো খুব বড় কোন কবির কবিতা হবে কিন্তু এই মূঢ় অধম তার কিছুই জানে না...। তাই আর কি করা আপনাদের সাহায্য নিয়ে দেখি কবিকে ধরা যায় কি না। যাক অনেকক্ষণ ফাউ প্যাচাল পারলাম আর না..
তো! কেউ জানলে প্লিজ মন্তব্যে জানাবেন।
[ছবি:ইন্টারনেট]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।