বেপোয়া মানুষ
দলের চেয়ারপার্সন ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটার অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও হাতাহাতি হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসের দিন ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর জন্মদিন পালন করে থাকেন। এবারও এ উপলক্ষে ছিল বিএনপির ব্যাপক আয়োজন। কাটা হয় ৩২ পাউন্ড ওজনের কেক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা রূপ নেয় বিবদমান দু’গ্রুপের হাতাহাতি ও মৃদু সংঘর্ষে।
বেগম জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বেলা এগারটার দিকে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে একজনেরই বক্তব্য রাখার কথা ছিল বলে জানা গেছে দলীয় সূত্রে। কিন্তু ডা. শাহাদাত হোসেনকে বক্তব্য দানের সুযোগ না দিয়ে কেক কাটতে গেলে শুরু হয় হট্টগোল। শাহাদাত অনুসারীরা এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন।
এ সময় ডা. শাহাদাত অনুসারীরা কার্যালয় প্রাঙ্গণে সড়কে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আরও একটি ককটেল ছোড়া হলেও তা অবিস্ফোরিত থাকে। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে। ডা. শাহাদাত এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী স্বৈরাচারের দোসররা এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশ পরিচালনার দায়িত্বে/ক্ষমতায় বিএনপি নেই অথচ তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে যে লড়াই, মহড়া দেখাল ক্ষমতায় গেলে এদের চরিত্র কেমন হবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেল। তারা জানেনা তাদের ভাগ্যে কি আছে আষাঢ়ের বৃষ্টি নাকি প্লাবন। যেখানে চিৎপটাং হয়ে ভাসবে ২০০৮ এর নির্বাচনী ঝড়ের মত। শুধু সরকারের সাথে নয়, মতানৈক্য রয়েছে তাদের সর্বস্তরে। ক্ষমতার দিবা স্বপ্নে যারা আহত করছে নিজ দলের নেতাকর্মীদের, ক্ষমতা পেলে কি হবে এ দেশবাসির ভাগ্যে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।