আকাশটা ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে
বাবরি বাড়াবাড়ি
ধরা যাক ৫০০ বছর আগে একটা মন্দির ভেঙ্গে একটা মসজিদ তৈরি হয়েছিল। সেই হাইপোথেঠিকাল গন্ডগোল সাজিয়ে গুজিয়ে নিতে আজ থেকে ১৯ বছর আগে, গণতান্ত্রিক একটি দেশে সেই মসজিদ কে পাল্টা ধসিয়ে দেওয়া হলো।
৫০০ বছরের প্রতিশোধ? আকবরের ঠাকুরদার যুগের (আক্ষরিক অর্থে) ইস্যু নিয়ে গণতন্ত্র কে চটকে বাবরি ধ্বংস, এবং সেই গুণ্ডামির সূত্র ধরে আজও আদলত্বাজি চলছে। রাজনীতি কী না পারে।
যদি ৫০০ বছর আগে কোনও অসহিষ্ণু মন্দির ভাংচুর করে থাকেন, তো আলবাত অন্যায়।
কিন্তু ৫০০ বছরের পুরনো ভুল শোধরানো শুরু হলে তো আলটিমেট কেলো শুরু হবে। আমার দাদুর দাদুর দাদুর দাদুকে যদি আমার বন্ধুর দাদুর দাদুর দাদুর দাদু চাপাটি মেরে ফ্ল্যাট করে দিয়ে থাকে, তাহলে “বাবরি ধ্বংস’ লজিকে আমার সেই বন্ধুর পেটে চাক্কু বসিয়ে প্রতিশোধ নিতে হয়। বলিহারি!
১৫২৮ সালে কোন বেয়াদপ কি করে গেছে তাতে আমার, ধোনির, মনমোহন সিং’এর, বিনি বৌদির, বোচাদার বা দেশের জি ডি পি’র কিছু এসে যায় না, কিন্তু ১৯৯২ সালে যে রাজনৈতিক শয়তানী-কাম-গুণ্ডামি গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছিল- তাতে আমাদের এসে যায়, ভীষণ ভাবে এসে যায়; কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজের নোংরা বাথরুমের থেকেও বেশি এসে যায়।
আদালতের রায় আসুক বাবরি নিয়ে, কিন্তু সস্তা গুণ্ডামির রাজনীতি শুরু হলেই মুস্কিল। ৫০০ বছরের দায়ভার বয়ে বেরাবার কোনও মানে হয় না।
বাবরি বাড়াবাড়ি-২
বেশ,
তো আদালত বলে দিয়েছে যে রাম লাল্লা অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমিতেই জন্মেছিলেন। মাইথলজি বলে ড্রিবেল করলে চলবে না, এবার আদলত বলে দিয়েছে। ৪৫০ বছরের মসজিদ নাকি ‘ভুল’ তৈরি হয়েছে। এবং মসজিদ কে ভাংচুর করে যেখানে রাম মূর্তি বসানো হয়েছে, সেটা নাকি যুক্তি যুক্ত। অতএব, অযোধ্যায় এখন মন্দির, মসজিদ এবং জিম( আখড়া আর কী )সহ একটা মাল্টি-পারপাশ বুদ্ধি প্লেস করা হল।
বেশ,
তবে এই লজিক খাটিয়ে শ্রীলংকার ১/৩ দাবি জানিয়ে রাখলাম, ভুললে চলবে না রাম লাল্লা কিন্তু সম্পূর্ণ লঙ্কা জয় করেছিলেন রাবণ’এর মুণ্ডু চটকে। বিভীষণ কে রাজ্য ফেরত দেওয়াটা তো ‘চ্যারীটি’ মাত্র। অতএব, শ্রীলংকার এক তৃতীয়াংশ এবং মুরলীর ২৬৭ উইকেট আমাদের প্রাপ্য, ব্যাস!
(এটা বলতেই হয়, এত মিডিয়া বাজি ও বরখা দত্ত'এর যুগেও যে এত বড় একটা ধর্মীয় সুড়সুড়ি পাশ কাটিয়ে দেশের মানুষ আদালত কে সম্মান জানিয়ে, যুদ্ধদাঙ্গা বাদ দিয়ে স্থৈর্য রেখেছেন, ভারতীয়দের এটা গর্বের দিন বটেই। টাচ উড, টাচ উড, টাচ উড! ভাল থাকুন সবাই)
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।