"বাউল মানুষ"
এসিড আইনে দায়ের করা মামলায় গুলশান থানার পুলিশ গতকাল বুধবার সকালে সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই ওই যুবকের মা হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় আইনজীবী নিয়ে হাজির হন। পুলিশ যুবকটিকে আদালতে সোপর্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, বিচারপতির ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আসাদুজ্জামানের ছেলে সাবরি-ই-জামানকে লক্ষ্য করে এসিড ছোড়ার ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন।
গত ৫ আগস্ট আসাদুজ্জামান গুলশান থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ ওই মামলায় বিচারপতির সরকারি গাড়িচালক শাহীন ও জাহিদ নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁরা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাফায়েতের নির্দেশে তাঁরা এসিড ছোড়েন। সাফায়েতের বাবা সেলিম আহমেদ ব্যবসায়ী। সাফায়েত কলাবাগানের লন্ডন কলেজ অব ফেলো স্টাডিজে পড়াশোনা করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে গুলশান-১ নম্বরের একটি আসবাবের দোকানে সাফায়েত দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাঁর মা কয়েকজন আইনজীবী নিয়ে থানায় যান। তিনি ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওসিকে বলেন। কিন্তু পুলিশ এভাবে ছাড়তে অপারগতা জানালে তিনি চলে যান।
সাফায়েতের মা থানায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, তাঁর ছেলে সাবরি-ই-জামান এরিকসন বাংলাদেশের ফ্রন্ট অফিসে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তাঁর (সাবরি) কার্যালয়টি গুলশানের ৩৭ নম্বর সড়কের ৯৯ নম্বর বাড়িতে। গত ৫ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে সাবরি তাঁর কার্যালয়ের নিচে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুই যুবক একটি প্লাস্টিকের বোতল থেকে এসিড সাবরির দিকে ছুড়ে মারেন।
এতে সাবরির মুখ ও শরীরের বাঁ অংশ ঝলসে যায়। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, সাবরির বাবার মামলা দায়েরের পর তারা ফোন নম্বর ধরে শনাক্ত করে বিচারপতির সরকারি গাড়িচালক শাহীন ও তাঁর বন্ধু জাহিদকে গ্রেপ্তার করে। এ দুজন জিজ্ঞাসাবাদে সাফায়েতের নাম বলেন। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সাফায়েতের নির্দেশেই তাঁরা সাবরির ওপর এসিড ছোড়েন। পরে আরও কিছু তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাফায়েতকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নামে।
গুলশান থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেহরিন নামের এক তরুণীর সঙ্গে দুই বছর ধরে টেলিফোনে কথা চলে সাবরির। ফোনে মেহরিন নিজেকে শিল্পপতির মেয়ে পরিচয় দেন। তবে তাঁদের মধ্যে কখনো দেখা হয়নি।
পরে একসময় সাবরি জানতে পারেন, মেহরিন মিথ্যা কথা বলেছেন। কিছুদিন পর সাবরি মেহরিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ একবারে বন্ধ করে দেন। কিন্তু মেহরিন নানাভাবে সাবরিকে দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেহরিন তাঁকে ‘কাজটা ভালো হচ্ছে না’ বলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মামলার তদন্তে তারা জানতে পারে, সাফায়েত ও সাবরি একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
সাবরির পর ওই তরুণীর সঙ্গে সাফায়েতেরও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহরিন সাফায়েতের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে দেখাও করেন। পুলিশ আরও জানায়, মেয়েটি একপর্যায়ে সাফায়েতকে তাঁর বন্ধু সাবরিকে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেন। এরপর সাফায়েত তাঁর মায়ের গাড়িচালক শাহীনকে ১০ হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে সাবরিকে এসিড ছুড়তে বলেন। শাহীন এ জন্য বঙ্গবাজারের পাশের একটি মোবাইল ফোনসেট মেরামতের মেকানিক জাহিদকে সঙ্গে নেন।
তাঁরা পুরান ঢাকা থেকে এসিড এনে সাবরির কার্যালয়ের একটু দূরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। সাবরি কার্যালয় থেকে বের হওয়ামাত্র তাঁরা তাঁর গায়ে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যান।
এসিড আইনে দায়ের করা মামলায় গুলশান থানার পুলিশ গতকাল বুধবার সকালে সাফায়েত আহমেদ চৌধুরী (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পরপরই ওই যুবকের মা হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় আইনজীবী নিয়ে হাজির হন। পুলিশ যুবকটিকে আদালতে সোপর্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, বিচারপতির ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আসাদুজ্জামানের ছেলে সাবরি-ই-জামানকে লক্ষ্য করে এসিড ছোড়ার ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন। গত ৫ আগস্ট আসাদুজ্জামান গুলশান থানায় মামলাটি করেন। পুলিশ ওই মামলায় বিচারপতির সরকারি গাড়িচালক শাহীন ও জাহিদ নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁরা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাফায়েতের নির্দেশে তাঁরা এসিড ছোড়েন।
সাফায়েতের বাবা সেলিম আহমেদ ব্যবসায়ী। সাফায়েত কলাবাগানের লন্ডন কলেজ অব ফেলো স্টাডিজে পড়াশোনা করেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে গুলশান-১ নম্বরের একটি আসবাবের দোকানে সাফায়েত দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাঁর মা কয়েকজন আইনজীবী নিয়ে থানায় যান।
তিনি ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওসিকে বলেন। কিন্তু পুলিশ এভাবে ছাড়তে অপারগতা জানালে তিনি চলে যান। সাফায়েতের মা থানায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান মামলায় উল্লেখ করেন, তাঁর ছেলে সাবরি-ই-জামান এরিকসন বাংলাদেশের ফ্রন্ট অফিসে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তাঁর (সাবরি) কার্যালয়টি গুলশানের ৩৭ নম্বর সড়কের ৯৯ নম্বর বাড়িতে।
গত ৫ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে সাবরি তাঁর কার্যালয়ের নিচে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুই যুবক একটি প্লাস্টিকের বোতল থেকে এসিড সাবরির দিকে ছুড়ে মারেন। এতে সাবরির মুখ ও শরীরের বাঁ অংশ ঝলসে যায়। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, সাবরির বাবার মামলা দায়েরের পর তারা ফোন নম্বর ধরে শনাক্ত করে বিচারপতির সরকারি গাড়িচালক শাহীন ও তাঁর বন্ধু জাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
এ দুজন জিজ্ঞাসাবাদে সাফায়েতের নাম বলেন। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সাফায়েতের নির্দেশেই তাঁরা সাবরির ওপর এসিড ছোড়েন। পরে আরও কিছু তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাফায়েতকে ধরতে পুলিশ অভিযানে নামে।
গুলশান থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেহরিন নামের এক তরুণীর সঙ্গে দুই বছর ধরে টেলিফোনে কথা চলে সাবরির।
ফোনে মেহরিন নিজেকে শিল্পপতির মেয়ে পরিচয় দেন। তবে তাঁদের মধ্যে কখনো দেখা হয়নি। পরে একসময় সাবরি জানতে পারেন, মেহরিন মিথ্যা কথা বলেছেন। কিছুদিন পর সাবরি মেহরিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ একবারে বন্ধ করে দেন। কিন্তু মেহরিন নানাভাবে সাবরিকে দেখা করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে মেহরিন তাঁকে ‘কাজটা ভালো হচ্ছে না’ বলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মামলার তদন্তে তারা জানতে পারে, সাফায়েত ও সাবরি একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। সাবরির পর ওই তরুণীর সঙ্গে সাফায়েতেরও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহরিন সাফায়েতের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে দেখাও করেন। পুলিশ আরও জানায়, মেয়েটি একপর্যায়ে সাফায়েতকে তাঁর বন্ধু সাবরিকে শিক্ষা দেওয়ার কথা বলেন।
এরপর সাফায়েত তাঁর মায়ের গাড়িচালক শাহীনকে ১০ হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে সাবরিকে এসিড ছুড়তে বলেন। শাহীন এ জন্য বঙ্গবাজারের পাশের একটি মোবাইল ফোনসেট মেরামতের মেকানিক জাহিদকে সঙ্গে নেন। তাঁরা পুরান ঢাকা থেকে এসিড এনে সাবরির কার্যালয়ের একটু দূরে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। সাবরি কার্যালয় থেকে বের হওয়ামাত্র তাঁরা তাঁর গায়ে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।