যায়যায়দিন রিপোর্ট :
তিনদিনেও কুষ্টিয়ার খোকসায় সন্ত্রাসীদের এসিডে দু’বোনের শরীর ঝলসে যাওয়ার ঘটনার কূলকিনারা হয়নি। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। জমি সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে মামলা করায় দোষীরা পার পেয়ে যেতে পারেÑ এমন মন্তব্য গ্রামবাসীর।
কমলাপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে শিরিন আক্তার শিলা (২০), তার বড় বোন নিলুফা ইয়াসমিন শিমুল (২২) ও তার দুই বছরের মেয়ে জ্যোতির ওপর এসিড নিক্ষেপের তিনদিন পার হয়ে গেলেও প্রকৃত রহস্য রয়ে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। ঘটনার দিনই দগ্ধ তাদের বাবা চারজনের নামে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
পরে পুলিশ সেটিকেই মামলা হিসেবে নেয়। জব্দ করেছে শিলার মোবাইল ফোন। এখানেই থেমে গেছে পুলিশের কর্মকা-। এসিড সন্ত্রাসের লোমহর্ষক এ ঘটনার পর থেকে গ্রামে অজানা এক ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে।
নিজের বাড়িতে শিলা-শিমুলের বাবা ইদ্রিস আলী জানান, এজাহারে উল্লেখ করা আসামি মিরাজ (২৫), মনোয়ার (১৮), রেজাউল (১৮) ও আয়ুব আলীই (৩৯) এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনদিনে পুলিশের আচরণের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, তার পরিবার এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অথচ পুলিশ আসামি ধরার উদ্যোগ নেয়নি। তিনি দাবি করেন, তার বাড়ি ও ভাবী জামাতার কাছে এসএমএস প্রেরণকারী মোবাইল ফোনের মালিককে খুঁজে বের করা গেলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে কমলাপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর মেয়ে শিরিন আক্তার শিলা, তার বড় বোন নিলুফা ইয়াসমিন শিমুল (২২) ও তার দুই বছরের মেয়ে জ্যোতির ওপর সন্ত্রাসীরা এসিড ছুড়ে মারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।