আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বপ্নের গুরুত্ব

রাসেল

হযরত ইমাম মুসা ইবনে জাফর (আঃ) বলেছেনঃ সৃষ্টির প্রথম দিকে মানুষ স্বপ্ন দেখত না। পরবর্তীতে আল্লাহ মানুষকে স্বপ্ন দান করেছেন। এর কারণ হল যে, আল্লাহপাক একজন নবীকে (আঃ) তাঁর জামানার মানুষের হেদায়েতের জন্য প্রেরণ করেন। সেই নবীও (আঃ) জনগণকে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগির জন্য আহবান জানালেন। তারা বলল, 'আমরা আল্লাহর ইবাদত করলে কি কোন প্রতিদান পাব? অথচ আমরা দেখছি তোমার ধন-সম্পদ আমাদের চেয়ে অধিক নয়।

' সেই নবী (আঃ) বললেনঃ যদি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি কর তার প্রতিদান হল বেহেশত আর যদি গুনাহ কর এবং আমার এ আহবানে সাড়া না দাও তাহলে তোমাদের স্থান জাহান্নাম। তারা বললঃ বেহেশত্ দোজখ আবার কি জিনিস? নবী (আঃ) তাদের জন্য উভয়েরই বর্ণনা দিলেন এবং ব্যাখ্যা করলেন। তারা বললঃ কবে সেখানে পেঁৗছাব। নবী বললেনঃ মৃতু্যর পর। তারা বললঃ আমরাতো দেখি আমাদের যারা মারা গেছে তাদের সকলেই পঁচে গলে মাটি হয়ে গেছে এবং আপনি যা বললেন তার কোন খবরই নেই।

অতঃপর তারা সেই নবীকে অস্বীকার করল। আল্লাহতা'লা তখন তাদেরকে স্বপ্ন দান করলেন। তারা স্বপ্নে দেখল যে তারা ঘুমের মধ্যে খাচ্ছে, পান করছে, চলাফেরা করছে, কথা বার্তা বলছে, শুনছে এবং আরও কত কি। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে তার কোন অস্তিত্বই দেখতে পেল না। অতঃপর তারা সেই নবীর কাছে গেল এবং তাদের স্বপ্নের কথা বর্ণনা করল।

নবী (আঃ) বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য অকাট্য প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন। তোমাদের রুহ (আত্মা) এরূপই। মৃতু্যর পর বাহ্যত তোমাদের শরীর পঁচে গেলেও তোমাদের রুহ কিন্তু ঠিকই জীবিত থাকে এবং কর্মফল অনুসারে শাস্তি অথবা শান্তি ভোগ করে থাকে। (মায়াদ: আয়াতুল্লাহ দাস্তগীব সিরাজী)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.