আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লি থেকে ট্রিবিউন নিউজ সার্ভিসের প্রতিবেদন:ভারতের চাপেই এশিয়ান হাইওয়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ

নিজেকে নিয়ে ভাবছি

ভারতের অর্থায়নে শিগগির এ হাইওয়ে নির্মাণ শুরু হচ্ছে। অর্থনীতির পাশাপাশি সামরিক দিক থেকেও ভারতের কাছে এশিয়ান হাইওয়ের মাধ্যমে পাওয়া বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লি থেকে প্রতিবেদনে এই তথ্য দেয়া হয়েছে। অজয় ব্যানার্জির লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হাইওয়ের মাধ্যমে পাওয়া ট্রানজিট সুবিধা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বন্দরনগরী কলকাতার দূরত্ব ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেবে। এটি পণ্যের সহজ চলাচল নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামরিক দিক থেকেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

প্রতিবেদনে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাইওয়ের নির্মাণকাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ভারতের অর্থায়নে নেয়া এই প্রকল্প এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের একটি অংশ। পাকিস্তান ও চীনের অনুরোধে বাংলাদেশ প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রকল্পটি ঝুলিয়ে রেখেছিল। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরিস্খিতির পরিবর্তন হয়। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে এই আন্ত:সরকার চুক্তি স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে রাজি করতে সক্ষম হয় ভারত।

কিন্তু তারপর চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এখন ভারতের তাগিদ ও বাংলাদেশের সহযোগিতায় শেষ প্রতিবìধকতা অপসারিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দু’টি রুটের অনুমোদন দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। একটি বেনাপোল স্খলবন্দর থেকে শুরু হয়ে যশোর-ঢাকা-সিলেট হয়ে আসাম বা মেঘালয় সীমান্তে শেষ হবে। দ্বিতীয়টি উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় থেকে শুরু হয়ে সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তে শেষ হবে।

ভারত দু’টি রুটই ব্যবহার করতে পারবে। হাইওয়েটি প্রস্তুত হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও মণিপুরে পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের বাধা অপসারিত হবে। বর্তমানে কলকাতা থেকে এসব অঞ্চলে পণ্য পরিবহনে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগে। এতে সময়ের পাশাপাশি পরিবহন খরচও বেড়ে যায়। হাইওয়েটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে উন্নত ও দ্রুত সুবিধা দেবে।

এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার জন্য জাতিসঙ্ঘের সামাজিক ও অথনৈতিক সংস্খা ইউএন-এসকাপের প্রস্তুতকৃত এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক ২০০৩ সালের নভেম্বরে ব্যাংককে অনুমোদিত হয়। এপ্রিল ২০০৪ পর্যন্ত চীনের সাংহাই এবং এরপর ডিসেম্বর ২০০৫ পর্যন্ত নিউইয়র্কের চুক্তিটি স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। কিন্তু পছন্দ অনুযায়ী রুট নির্ধারিত না থাকায় বাংলাদেশের তৎকালীন জোট সরকার চুক্তি স্বাক্ষরে বিরত থাকে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।