নিজেকে নস্টালজিক করিবার টুলস বিশেষ মাত্র
হাওড়া রেল স্টেশনের স্মৃতিটা একদম বৃষ্টি ভেজা। সকালে যখন কলকাতাতে বাস থেকে নেমেছি তখনও ভাবতে পারিনি এভাবে কুত্তা বিলাই বৃষ্টিটা জ্বালিয়ে মারবে।
১৪ই জুলাই দুপুর ২টা। কলিকাতা নিঊমার্কেট থেকে কিনে ফেললাম "The Fourth K"। ট্রেনে নিজেকে ব্যস্ত রাখার মহৌষধ।
ঘন্টা খানেকের দুনিয়া অন্ধকার করে ঝুমঝাম করে সেই যে শুরু হল আর যে থামেই না।
আগে ভাবতাম অতিবর্ষনে বুঝি সারা দুনিয়ায় খালি ঢাকাবাসী পানিতে ডুবে যায়। কলকাতা গিয়ে টের পেলাম আমাদের কোমর পানি হলে সেখানে হাটুপানি হয় বৈকি।
পিঠে ৮-১০ কেজির ব্যাগপ্যাক নিয়ে টানা দুঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে বৃষ্টি তোর মায়রে বাপ বলে লাফিয়ে লাফিয়ে ট্যাক্সি কাকুদের সাথে কথা বলা শুরু করলুম।
বলিঊডের কল্যানে হিন্দি ভাষাটা বোঝাটা কঠিন হয়নি।
কিন্তু আমার স্পিকিং হিন্দি যে একেবারেই দাতভাঙ্গা হবে তা আগে জানতাম না। কি আর করা হিন্দি,ঢাকাইয়া বাংলা আর মহান ইংলিশ কে মিক্স করে একটা ভাষা দিয়ে অবশেষে বোঝাতে পারলুম যে আমাকে হাওড়া স্টেশনে যেতে হবে। ভাড়া চাইল ১২০ রুপি। আরো ২-১জন ট্যাক্সিওয়ালাকে আমার ভাষা বোঝানোর পরে এক বুড়া চাচামিয়া মাত্র ৬০ রুপিতে রাজি হয়ে গেলেন।
আমার কাছে এক দিনের কলিকাতা ভ্রমনে "ঢাকাতে ট্যাক্সি পাওয়া যত কঠিন, কলকাতাতে ততটাই সহজ বলে মনে হইছে।
" আর প্রি পেইড ট্যাক্সি কন্সেপ্টটা তো খুবই কাজের।
হাওড়া তে প্রচুর লোক। বসার জায়গা পাওয়া মুস্কিল। ২০-২৫ মিনিট ঘোরাঘুরি করার পরে সল্যুশন পেয়ে গেলাম। হাওড়া স্টেশনে ঢুকে একদম হাতের বামে গেলে " Food Plaza" নামের একটা দোকানের দোতলা তে বেশ বড়সড় ফুড কোর্ট।
রাইফেলস স্কয়ারের হেলেভেসিয়ার ২-৩ গুন বড়। দোতলাতে হওয়াতে লোক জন অনেক কম। মোবাইলে কলিকাতার FMস্টেশন টিউন করে "The Fourth K" পড়া শুরু করে দিলাম
বেজেই চলছে , বেজেই চলছে .....................
Kabhi kabhi aditi zindagi mein yun hi koi apna lagta hai
Kabhi kabhi aditi wo bichhad jaaye to ek sapna lagta hai
৭টা আর বাজে না রে ভাই............। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।