তিন বছরের অপেক্ষার অবসান। আবার আলো ছড়ালেন সিদ্দিকুর। আন্তর্জাতিক গলফে দ্বিতীয়বারের মতো লাল-সবুজ পতাকা উড়ল তাঁরই কল্যাণে। ২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেন জয়ের পর কাল তিনি জিতলেন ভারতের হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনের শিরোপা।
বাংলাদেশের গলফ-জগৎই শুধু নয়, গোটা ক্রীড়াঙ্গনের জন্যই সিদ্দিকুরের এই সাফল্য অনুপ্রেরণার অন্য নাম।
তাই দিল্লি জয় করে সিদ্দিকুর ক্রীড়াঙ্গন থেকে পাচ্ছেন অনেক অভিনন্দনবার্তা।
দিল্লির এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন ১২০ জন গলফার। সিদ্দিকুর শুরু থেকেই ছিলেন শীর্ষে। ৭ নভেম্বর পর্দা ওঠা ৫০তম দিল্লি ওপেনের শেষ দিনে বাংলাদেশের সেরা গলফার একটা সময় ধুঁকছিলেন। কখনো পারের সমান, কখনো পারের চেয়ে বেশি শট খেলেছেন।
শিরোপার জন্য তাঁকে তীব্র লড়াইয়ে ফেলে দেন ভারতের শিব শংকর চৌরাসিয়া ও অনির্বাণ লাহিড়ি। কিন্তু চাপের কাছে সিদ্দিকুর নিজেকে ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তায় তুলে ধরেছেন দিল্লি গলফ ক্লাবে। শেষ হোলে পারের সমান পাঁচ শট খেলে পৌঁছালেন লক্ষ্যে। নাটকীয়ভাবে জয়টা পেলেন শেষ শটে।
প্রতীক্ষার জয় পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই সিদ্দিকুর ছিলেন উচ্ছ্বসিত, ‘আমি খুব খুশি।
আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। নিজেকে বলছিলাম, একটি বড় জয় আসছে। অবশেষে সেটি এল। আমার গলফ কেরিয়ারে এই সপ্তাহটাই সেরা। ’
এই টুর্নামেন্টের আর্থিক মূল্যও বেশ বড়।
দুই লাখ ২৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে আর্থিক মূল্য ছাপিয়ে সিদ্দিকুর যেভাবে দেশের মুখ উজ্জ্বল করলেন, তাতে তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ উঠে গেল আরও উঁচুতে। দিল্লি থেকেই সিদ্দিকুর চলে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়, ২১-২৪ নভেম্বর খেলবেন বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের প্রথম গলফার হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণের আগে দিল্লির এই জয় তাঁকে আরও উজ্জীবিত করবে।
বিশ্বকাপের আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান মাস্টার্সে খেলার কথা রয়েছে সিদ্দিকুরের, নিজেকে আরও তৈরি করে নিতে যেটি হতে পারে তাঁর জন্য বিশ্বকাপের ‘ওয়ার্মআপ’ টুর্নামেন্ট। কঠিন হলেও বিশ্বকাপের সেরা দশে থাকার স্বপ্ন দেখার কথা ঢাকা ছাড়ার আগেই বলে গেছেন। দিল্লি বিজয় হয়তো আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাঁকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।