ভারতের দ্রুত বিচার আদালত বুধবার সাজার বিষয়ে শুনানির পর শুক্রবার রায়ের দিন ঠিক করেন।
ধর্ষণের ঘটনার প্রায় নয় মাস পর ১০ সেপ্টেম্বর আদালত আসামি বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত ও মুকেশ সিংকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে।
দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক যোগেশ খান্না ওই দিন তার আদেশে বলেন, “আমি সব অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করছি। ধর্ষণ, আলামত নষ্ট ও অসহায় তরুণীকে হত্যার ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে। ”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাইয়ান কৃষ্ণান বলেন, যে রকম নিশংসভাবে তারা অপরাধটি করেছিলো তাতে ফাঁসিই তাদের একমাত্র প্রাপ্য।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আপিলের পরিকল্পনা করছেন।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে ফেরার সময় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছর বয়সী ফিজিওথেরাপির ওই ছাত্রী। ছয় পাষণ্ড ধর্ষণের আগে ছাত্রীর বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে। পরে তাদের দুজনকেই চলন্ত বাস থেকে ফেলা দেয়া হয়।
এর দুই সপ্তাহ পর মারাত্মক আহত ওই ছাত্রী সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্র-জনতা।
এই বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে নারীর সুরক্ষা নিয়ে জাতীয় পর্যায়েও বিতর্ক তৈরি হয়। প্রবল বিতর্কের মুখে আইন সংশোধন করে নারী নির্যাতনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে প্রধান আসামি বাসচালক রাম সিং কারাগারে মারা যান। মারা যাওয়ার পর তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এছাড়া গত মাসে অপ্রাপ্তবয়স্ক আরেক অভিযুক্তকে তিন বছর সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দেয় ভারতের কিশোর আদালত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।