নিজেকে নস্টালজিক করিবার টুলস বিশেষ মাত্র
সকাল বেলা । ডলার দুইশো শ্যামলীর কাউন্টারে ভাংগিয়ে পেলাম ৮হাজার চারশ রূপি। বাসে ঊঠলাম।
প্রথম দেশের বাইরে ভ্রমন। তখনো দেশ দেশ গন্ধটা যায়নি।
কলকাতা যেতে নাকি আরো ৩-৪ ঘন্টা। বাসে আমার ঘুম হয়না বললেই চলে তাও কেমন করে যেন কাল রাতে ঢাকা-বেনাপোল নাইট জার্নিটা পাটুরিয়া ফেরীঘাটের পরে আর টেরই পেলাম না!!
হাল্কা হাল্কা আধো ঘুম চোখে বাসের জানালা দিয়ে ইন্ডিয়ার গ্রাম দর্শন। কোন চেঞ্জ নাই বললেই চলে। এখানেও ঝুমকি টেইলার্সের পাশের গলির মাথায় খালের উপরে বসানো কাচা পায়খানা থেকে হাগু করলে কেঊ মনে হয় মাইন্ড করে না।
দোকানের সাইনবোর্ড গুলির বাংলা ফন্ট আমাদের দেশের বাংলা ফন্ট গুলার মত অত সুন্দর না।
লোকজনের কথার ফন্ট গুলাও কেমন জানি চেনা হয়েও অচেনা।
অবাক করে দিয়ে ৪-৫ কিলো ভিতর পর্যন্ত গ্রামীনের নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলো। তার পরে যখন সেটাও চলে গেলো তখন বিদেশ বিদেশ লাগা শুরু হল।
সকাল এগারোটার দিকে কলিকাতা নিঊমার্কেটে নামিয়ে দিলো। "ঢাকাই স্বাদের খাবার পাওয়া যায়" এ আশা নিয়া ঢুকে গেলাম হোটেল কস্তুরীতে।
বার বার মনে পড়তে লাগলো গুলশান-২ এর কস্তুরী এর কথা।
খাদ্যাভাসে যে কত পার্থক্য তা জানতে আমার মত ঘ্রান বিশারদ হবার দরকার নাই । যে কোন তরকারীতে কেন যে "পাচ ফোড়ন দিতেই" ---- হবে এটা আমার মাথায় আসে না।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ৪০মিনিটে হাওড়া থেকে কালকা মেইল। "রাজধানী" ট্রেনের টিকেট পাইনি।
অগত্যা কি আর করা, ২৬-২৮ঘন্টার জার্নির জন্য রেডী হয়ে গেলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।