আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেপাল ভ্রমন - (ষষ্ঠ পর্ব)

সবার আগে দেশপ্রেম

পর পর পঞ্চম পর্ব প্রকাশের পরঃ ঘুম ভাঙ্গলো। গাড়ীর স্টার্টের শব্দে। গাড়ী ঠিক হয়েছে। এবং আবার চলতে শুরু করেছে কাটমুন্ডু শহরের দিকে। আমি আবার ঘুমিয়ে পর্লাম।

ভোর রাতের দিকে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমার পাশের সিটের ছেলেটি এখনো ঘুমিয়ে যাচ্ছে। গাড়ী চলছে পাহাড়ের উপর দিয়ে। পাশে তাকিয়ে দেখলাম আমাদের গাড়ী পাহাড়ের অনেক উপর দিয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে সব।

সূর্য উঠি উঠি কর্ছে। পাহাড়ের নিচের দিকে তাকালে ভয় লাগে। দূরের দিকে তাকালে অনেক ভালো লাগায় মনটা ভরে ওঠে। পাহাড়ী পথ পাহাড়ী ঝর্ণা ধারা। দূর পাহাড়ে কৃষেকর চাষ।

সারি সারি থাকে থাকে কৃষকের ধান ক্ষেত। একসময় এক সমান্তরাল অংশে গাড়ী থেমে যায় সকালের নাস্তার জন্য। পরিচ্ছন্ন এই হোটেলটায় নানা রকমের খাবার কিন্তু কোন পরিচিত কোন খাবার না পেয়ে সবজি দিয়ে বানানো পেয়াজির মতো একটা খাবার খেয়ে নিলাম। গাড়ী আবার চল্তে শুরু করেছে। গাড়ী বেয়ে ঊঠে যাচ্ছে উপর থেকে উপরের দিকে।

একসময় পাশের যাত্রি আমাকে দেখালো পাহারের সর্বোচ্চ স্থান। সেখান থেকে গাড়ী শুধু নিচের দিকে নামতে শুরু কর্লো। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে যাচ্ছে ঝর্ণা ধারা। সেই ধারায় পুরুষ মহিলা মেয়ে ছেলে বাচ্চা কাচ্চা সবাইকে গোছল কর্তে দেখা গেল। ১২টার সময় পাহাড়ের মধ্যবর্তী শহর কাটমুন্ডু এসে পৌছলাম।

একটা কলার বাজারের পাশ ঘেষে নোংরা যায়গায় গিয়ে গাড়ী থামলো। আমার পাশে বসা যাত্রী কখন নেমে গেছে টেরই পেলাম না। গাড়ী থেকে নেমে একজন যাত্রীকে আমার গন্তেব্যর ঠিকানা দেখালাম। শান্তি নগর যায়গাটার নাম যেটুকু বাংলাদেশের শান্তিনগরের সাথে মিলে যায়। বাকীটুকু মনে নেই।

যাত্রীটি আমাকে বল্ল, আমিও সেখানে যাব চলেন একসাথেই যাই। কথাবার্তা ইংরেজীতেই বলেছি। যে বুঝছে তার সঙ্গে কথা জমছে যে বুঝছে না তার সঙ্গে কথা হচ্ছেনা। সে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করে নিল। মাইক্রোবাস ধাই ধাই করে ছুটে চলে গেল যাত্রীটির বাসার সামনে।

তার বয়স ৪৫/৫০ হবে। গাড়ী থেমে গেল আমার কাছে ১৫০টাকা চাইলো আমি দিয়ে দিলাম। তিনি আরও ৫০টাকা মিলিয়ে ২০০টাকা মাইক্রোবাস ভাড়া পরিশোধ কর্লো গাড়ী আমি আর আমার ছোট লাগেজ ছাড়া আর কিছুই ছিলনা কিন্তু ঐ লোকের ছিল একটি টেবিল ৪টি চেয়ার ২টি বস্তা। যাত্রীটির বাসা থেকে তার ছেলে বেড়িয়ে আস্তেই তাকে কি যেন জিজ্ঞেস কর্লো। সম্ভবত এই ঠিকানাটা কোথায় জান্তে চাইছেন।

ছেলেটা এসে আমার হাতের ঠিকনাটা দেখলো ঠিক কিছুই বল্তে না পেরে বল্ল ফোন নম্বর আছে? আমার চরমে উঠে যাচ্ছিল কিন্তু এই বিদেশের মাটিতে আমার বল্তে কেউ নেই বলেই কোনিকছু না বলে চুপ করে রইলাম। ছেলেটি একটি ফোনের দোকান থেকে ফোন করে আমার পরিচিত জনদের সাথে আমাকে কথা বলিয়ে দিল এবং কিভাবে সেখােন পৌছা যায় তা যেনে নিল। পরে আমাকে একটা লোকাল মাইক্রোবাসে তুলে দিল। মাইক্রোবাসটি ১৪জন যাত্রী নিয়ে লোকাল সিটি সার্ভিস চলছিল। আমাকে শান্তি নগর মোরে মাত্র ৫টাকা ভাড়া নিয়ে নামিয়ে দিল।

আমি জিজ্ঞেস কর্লাম, বাসস্টান্ড থেকে এখানে কিভাবে আস্তে হয়? তারা আমাকে বল্ল, লোকাল গাড়ী আছে ৩টাকা ভাড়ায় এখানে আসা যেত। গাড়ী থেকে নেমে একটি দোকানে গিয়ে আবার ফোন করে দোকানটির নাম বল্লাম। আমার পরিচিত জনদের মধ্য থেকে প্রভা নামের ১৮/১৯ বছর বয়সের মেয়েটি এসে আমাকে তাদের অফিসে নিয়ে গেল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।