শেষ পর্যন্ত বন্দুক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে বিদ্যমান ১৫ বছরের পুরনো আইনটি উঠিয়ে দেওয়ার রাজনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। কানাডার সংসদে টানটান উত্তেজনার মধ্যে মাত্র ২ ভোটের ব্যবধানে আইনটি বাতিল করে দেওয়ার প্রস্তাবটি হেরে যায়। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন সদস্য বেসরকারি বিল হিসেবে এই প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। তবে খোদ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার প্রস্তাবটি পাশ করানোর সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
বন্দুক নিবন্ধন আইনটি বহাল রাখার পক্ষে ১৫৩ জন এমপি ভোট দেন।
আর এটি বাতিল করে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন ১৫১ জন। মাত্র ২ ভোটের ব্যবধানে শেষ পর্যন্ত বহুল আলোচিত এবং কানাডার রাজনীতি গরম করা একটি ইস্যূর নিষ্পত্তি ঘটে। তবে প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার বলেছেন, সংসদে ভোটে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি বন্দুক নিবন্ধনের নিয়ম বাতিলের চেষ্টা থেকে বিরত হবেন না। তিনি বলেন, বিধানটি চালুর পনের বছর পর বন্দুক নিবন্ধন প্রথা বাতিলের পক্ষে যে জনমত তৈরি হয়েছে তা এর আগে কখনোও ছিলো না।
ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি বন্দুক নিবন্ধনের বিদ্যমান বিধানটি বাতিল করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরেই।
কিন্তু সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছিলো না। শেষ পর্যন্ত দলীয় একজন সদস্যকে দিয়ে বেসরকারি বিল হিসেবে বন্দুক নিবন্ধনের বিধান বাতিল করে দেওয়ার প্রস্তাব সম্বলিত একটি বিল সংসদে পেশ করে। বিলটি সংসদে উঠার পর পরই এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। সূধীমহলে বিশেষ করে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের বন্দুকের গুলিতে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে নিবন্ধনপ্রথার পক্ষে প্রচারণায় নেমে গেলে বিষয়টি স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। প্রধান প্রধান বিরোধীদলগুলোও নিবন্ধন প্রথার পক্ষে অবস্থান নেয়।
কিন্ত্র প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার বন্দুক নিবন্ধন প্রথার বিপক্ষে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত সংসদে ভোটের মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি ঘটে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।