বদ পোলাপাইনগুলো আমাকে শুধু শুধু মাইনাস দেয়। বেশি মাইনাস দিলে আবার চলে যাব।
আমি যখন মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের পাশে সেনা কল্যাণ ভবণের একটা অফিসে চাকরি করতাম তখন আকাশ নামে আমার এক কলিগ ছিল। অবশ্যই ছদ্মনাম ব্যবহার করছি। চেহারা সুরতে মাশাল্লাহ, যেকোন মেয়ে তাকে পছন্দ করবে।
সে আবার মেয়ে পটানোতে ওস্তাদ। তার বউ ও এক বছরের একটি বাচ্চা আছে। অফিসে প্রায়ই কানাঘুষা চলত আকাশের সাথে আমাদের অফিসের মহিলা একাউন্টেন্টের সাথে নাকি ‘ইটিশ পিটিশ’ চলে। আমি ব্যপারটা সুশীলের দৃষ্টিতে দেখতাম। মানে নারী পুরুষ স্বাভাবিক সম্পর্ক হিসেবে দেখতাম।
একসাথে কাজ করলে একটু কথা বারতা চলতেই পারে, তাকে আমরা ‘ইটিশ পিটিশ’ হিসেবে দেখছি কেন? ওই মহিলা একাউন্টেন্টেরও হাসবেন্ড আছে, আট মাস বয়সী একটা বাচ্চা আছে। কিছুদিন পরে আমি ঐ অফিস থেকে আরেক অফিসে চাকরি নিয়ে চলে যাই। মাসখানেক পরে খবর এলো, আকাশ আর ঐ মহিলার চাকরি চলে গেছে। কারণ হিসেবে বিভিন্ন সূত্র থেকে শুনলাম, ঐ মহিলার স্বামী অফিসে এসে অভিযোগ জানিয়েছে যে অফিসের এক কলিগের সাথে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক চলছে। ঐ বেটাকে সে পুলিশে দিতে চায়।
অফিসও তাকে জানিয়ে দেয় ‘নিজের বউ সামলাও’। এই সময় আকাশ অফিসের বাইরে অবস্থান করছিল। অফিস থেকে এক লোক তাকে ফোনে বিষয়টা জানিয়ে দেয়। সেই থেকে আকাশ আর সেই অফিসে যায়নি। এমনকি বেতন নিতেও যায়নি।
আকাশ এক মাস পরে আমার কাছে আছে চাকরি খোঁজার জন্য। তখনও সে চাকরি পায়নি। আকাশের কাছে জিজ্ঞেস করলাম “ঘটনা কি?” সে উত্তর দিল “আমি শুধু মজা করার জন্য ঐ মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছিলাম। আমার কি ঠেকা পড়েছে নিজের বউ বাচ্চা ছেড়ে আরেকজনের বউ ভাগাব। ” আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
বলে কি? শুধু মজা করার জন্য প্রেম! প্রেম কি এতই সস্তা? কারো সুন্দর চেহারা থাকলেই কি কাজে লাগাতে হবে? জিজ্ঞেস করলাম “তা কি মজা করা যায়?” আকাশ “বউয়ের কাছ থেকে যা পাওয়া যায় পরকীয়া করলে তাই পাওয়া যায় মানে ঐ মেয়ে যদি কারো বউ হয় তাহলে সে ফিজিকাল রিলেশন করবেই। ” আমি বললাম ‘আপনার বউ যদি কারো সাথে প্রেম করে তাহলে আপনার কেমন লাগবে?” তার উত্তর “যদি এরকম ঘটে তাহলে দুইটাকেই আমি খুন করব!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।