ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো
হাতিরঝিল ঢাকাবাসীর মুক্ত বায়ু সেবনের যে সুযোগ করিয়া দিয়াছে তা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। দুর্গন্ধময় জলাশয়কে এমন চোখের শান্তিতে পরিনত করিবার ফলে একাধারে বিনোদন কেন্দ্র হইলো আবার ভূমিখেকোদের আগ্রাসন হইতে স্থায়ী রক্ষা মিলিলো। স্থায়ী রক্ষাটি কেন গুরুত্বপূর্ন বলিতেছি। ২০০২ সাল হইতে এমন একখানা জলাশয় ঢাকা সেনানিবাসের ভিতরেই নিয়মিত কয়েক টন করিয়া বর্জ্য ফেলাইয়া বছরখানেকের মধ্যে ভরাট হইতে দেখিয়াছি। ঢাকাবাসীর বর্জ্য হইতে এখন কয়েক কোটি টাকা মুল্যের ইমারত হইয়াছে বটে কিন্তু সেই জলাশয়ের নিশানা আর অবশিষ্ট নাই।
জলাশয়গুলি রক্ষার উদ্দেশ্য মাছ চাষ নয় বরংফরহাদ মাজহার বর্ণীত প্রান ও পরিবেশের 'হেফাজত'।
এমন হেফাজতি কার্যক্রমের খতিয়ান ও ইসলামের নজরে গুরুত্ব, শীর্ষ আস্তিকদের মুখে ভালো মানাইবে। আমার মতো নও মুস্লিমের কমজোরি ঈমানে সেই সাহস হইতেছে না। তথাপি বেয়াদপির বাজে অভ্যাসের চর্চা হইতে বলিতে চাই, ঢাকাই মোসলেম সমাজ মসজিদে এসি লাইগাইয়া জম্পেশ ইবাদতের এন্তেজাম করেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ জ্ঞ্যান করেন, বাড়ির সিড়ি দৈনিক সাফাই করেন অথচ রাস্তায় নামিয়া ছ্যাপ ফেলেন। দুই বিল্ডিং এর ফাকে ময়লা ফেলেন।
উনারা আসমানের দিকে দুই হাত তুলিয়া খোদার নিকটবর্তী হইবার খায়েশ করেন অথচ একটিবার মহল্লার পরিচ্ছন্নতার জরুরত নিয়া বয়ান করেন না। কারন ইসলাম 'শান্তির ধর্ম' ...উহাকে মসজিদে আবদ্ধ রাখিয়া এইসব দুনিয়াবি বিবাদ ফিতনা ফেসাদ না ডাকাই উত্তম।
মুসল্লীদের কাজ নিয়মমাফিক সরকারের ধর্ম পরীক্ষা লওয়া এবং যত্রতত্র ময়লা ফেলাইয়া নগরপিতার মাতার বংশ পরিচয় খতাইয়া দেখা।
যাহা হউক, প্রাণ ও পরিবেশের এমন হেফাজতের জন্য নাস্তিক সরকারকে অভিনন্দন, সেই সাথে অভিনন্দন এর পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও রক্ষানাবেক্ষনে নিয়োজিত সকলকে। ভুলিলে চলিবে না আমাদের এই হেফাজতি কার্যক্রমের আওতা বাড়াইয়া ঢাকার উপকূলে ও দেশব্যাপি গড়িয়া উঠা শিল্প-কারখানার বর্জ্য পরিশোধনে, বুড়িগঙ্গা, বিলঝিল, খাল নালার রক্ষনাবেক্ষনে যত্নশীল হইতে হবে।
এসব কাজে শীর্ষ ঠিকাদার কুচকাওয়াজ কোম্পানির বদলে সরকারি সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের আশু ব্যবহার কাম্য।
- কুচকাওয়াজ কম্পানির এই ঠিকাদার হিসাবে প্রতিষ্ঠার সাথে আমাদের গনতন্ত্রের অগ্রযাত্রার যোগাযোগটি পরে আলাদা আলোচনায় হাজির করিব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।