প্রগতিশীল নূর মোহাম্মদ । ।
যানজটের কবলে বিপর্যস্ত জনজীবন, ধুলোবালিতে ধূসরিত, বিষাক্ত বাতাসে যেন ছেয়ে গেছে চার পাশ , অবসরে কোথাও নেই চোখ খুলে দেখার মতো কোনো মনোরম দৃশ্য । কি এক বিভীষিকাময় জীবন! এ যেন নগরবাসীর বেদনাসঞ্জাত স্বগতোক্তি। এই হতাশা ও বেদনার মধ্যেও একটি সুখকর সংবাদ রয়েছে নগরবাসীর জন্য।
আর সেই সংবাদটির শিরোনাম হল হাতিরঝিল প্রকল্প।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রাজধানীর বুকে চোখ ধাঁধানো, মন ভরানো একটি অপরূপ দৃশ্যপট তৈরি হ”েছ। যেখানে গিয়ে ব্যস্ততায় জর্জরিত মানুষগুলো প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে পারবে, দেখতে পারবে অপরূপ দৃশ্য যা তাদেরকে ক্ষানিকটা সময়ের জন্য হলেও গায়ের পাশদিয়ে এঁকে ঁেবকে বয়ে যাওয়া ছোট ছোট নদী গুলোর কথা মনে করিয়ে দেবে।
এই সম্পূর্ণ বর্ণনাটি শুধুই হাতিরঝিল প্রকল্পের জন্য। এ প্রকল্পটি যে শুধু মাত্র একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে তা কিš‘ নয় বরং এর মাধ্যমে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি যায়গায় যানযটহীন ভাবে অতি অল্প সময়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রকল্পের শুরু যেভাবে:
প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হতে দীর্ঘ একটি সময় লাগলেও তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল প্রায় ১৩ বছর আগে। ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ হিসেবে ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে পাš’পথ-রামপুরা সংযোগ সড়ক প্রকল্প হাতে নেয়। তখন হাতিরঝিলের খাল ভরাট করে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল।
পরে ২০০১ সালে বিএনপি সরকারও প্রকল্পটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। একপর্যায়ে ঢাকা ওয়াসার আপত্তির কারণে হাতিরঝিলের খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
বিকল্প হিসেবে বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে হাতিরঝিল খালের ওপর একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেস রোড তৈরির মাধ্যমে পাš’পথের সঙ্গে রামপুরা-প্রগতি সরণি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
সর্বশেষ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন ও পাš’পথ-প্রগতি সরণি সংযোগ সড়ক’ নামে এ নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগ্রহে ২০০৭ সালের জুলাই মাসেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রাজউকের তত্ত্বাবধানে ¯’ানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), ঢাকা ওয়াসা, বুয়েট ও সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যটালিয়ন যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
তবে মামলা ও অবৈধ ¯’াপনা উ”েছদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বেশকিছু মামলার সম্মুখীন হয় রাজউক।
এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বেড়ে যায়। গত জানুয়ারিতে প্রকল্পের ব্যয় ৪৮৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২০০৭ সালে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রকল্পটির মেয়াদ দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পের অবকাঠামো:
নান্দনিক এ প্রকল্পটিতে রয়েছে চারটি ব্রিজ এবং চারটি ওভারপাস।
রয়েছে অ্যাপ্রোচ রোড। এসব ওভারপাস ও ফুটওভারব্রিজ দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ হওয়ায় অনেকটা পথকে কমিয়ে দিয়েছে নিজ গন্তব্যে পৌছতে। প্রকল্প বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান করছে রাজউক। যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ঢাকা ওয়াসা এবং এলজিইডি। প্রকল্পে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
নকশা অনুযায়ী, এর আওতায় যোগাযোগ অবকাঠামোর জন্য ৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেস রোড, ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার ফুটপাথ, ২৬০ মিটার ভায়াড্যাক্ট, ১২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ৪০০ মিটার ওভারপাস, ৪৭৭ মিটার ব্রিজ নির্মাণ । প্রকল্পের আওতায় ২৯৯ দশমিক ২৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ১৩৯ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন, ৬৯ একর কোর্ট অব ওয়াটস ও ১০ একর সরকারি খাসজমি।
প্রকল্পের আওতায় দুটি বাস বে, দুটি গাড়ি পার্কিং স্পেস, নতুন রাস্তাটির যানজট রোধে রামপুরা ব্রিজের দুই পাশে দুটি ‘ইউ’ লুপ তৈরি করা হবে। ল্যান্ডস্কেপিং, গার্ডেনিং, পার্ক ফার্নিচার, প্লান্টেশন, লাইটিং, রোড মেকিং, ওয়াটার ট্যাক্সি টার্মিনাল, ফুট ব্রিজ ওভার লেক, পাবলিক টয়লেট, পুলিশ বক্স নির্মাণ।
আর ঢাকা ওয়াসা অংশের কাজ হিসেবে ১০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মেইন ডাইভারশন সুয়ার, ১৩ কিলোমিটার লোকাল ডাইভারশন সুয়ার, ১৩টি স্পেশাল ডাইভারশন স্ট্রাকচার নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
কমবে যানযট বাচবে সময়:
মগবাজার কিংবা সাতরাস্তা এমনকি কাওরান বাজার এলাকা থেকে বাড্ডা অথবা রামপুরা কিংবা গুলশান যেতে হলে আগে যেতে হতো মহাখালী অথবা মৌচাক - মালিবাগ দিয়ে। কিš‘ এ প্রকল্প এ অতিরিক্ত ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিয়েছে নগরবাসীকে। বাড়তি যানযট আর সময় বাচিয়েছে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। আর কাওরান বাজার থেকে সারা ঢাকা শহরেই শাক সবজি সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস খরিদকরে নিয়ে যাওয়া হয় ।
আর এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়িরা মুক্তি পেয়েছে অতিরিক্ত খরচের বোঁঝা থেকে।
আর রাজধানী ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবং পরিবেশবন্ধব মনোমুগ্ধকর বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা মাথায় রেখে হাতিরঝিল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়।
আর সেই প্রকল্পের কাজ এখন প্রায় শেষপর্যায়ে। পকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করছেন তারা জানান, প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রায় ৫ ভাগ কাজ বাকি থাকতেই এর দৃশ্য এক নান্দনিক রূপ নিয়েছে।
সম্পূর্ণ উদ্ভোধনের আগেই দর্শনার্থীদের পদচারনায় মূখরিত হতে শুরু করেছে এ হাতিরঝিল নান্দনিক প্রকল্পটি। দর্শনার্থীদের মতে, পুরোপুরি কাজ শেষ হলে হাতিরঝিল রূপকথার ছবির মতো ফুটে উঠবে। যা নগরবাসীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রে পরিনত হবে।
দৃষ্টি নন্দন ভাবে সাজানো :
বাহারি রঙ্গের ফুলের বাগান, পামগাছ লাগানো, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, ব্রিজ ও ওভারপাসে লাইটিং, বিভিন্ন ¯’ানে যাত্রী শেড, ওয়াকওয়ের পাশে ফুলের বাগান তৈরি, লেকের স্ব”ছ জল, গোধূলির আলোয় ব্রিজ আর ওভারব্রিজের দু’পাশ দিয়ে তারার মতো ফুটে থাকা মরিচ বাতির আলো আর মুক্তমঞ্চে নানা স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে আসা শত শত মানুষের মিলনমেলা প্রমান করে এটি কোন অংশে একটি সমৃদ্ধ পার্কের চেয়ে কম নয়। চারপাশে রয়েছে ওয়াকওয়ে, বোটঘাট এবং বসার জায়গা।
প্রকল্পটির মাঝখান দিয়ে যে লেক খোঁড়া হয়েছে ময়লা-আবর্জনায় তার জলের রঙ কালো হলেও আঁকাবাঁকা গতিপথ রাজধানীর মাঝখান দিয়ে গাঁয়ের ছোট নদীর কথা মনে করিয়ে দেয় প্রত্যেক ভ্রমন কারীকে। আর এ নান্দনিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য প্রকল্পটি উদ্ভোধনের আগে থেকেই শতশত দর্শনার্থী কৌতূহল নিয়ে দেখতে এসেছেন প্রতিদিন। এক্ষেত্রে ভ্রমন কারীদের জন্য রয়েছে কার পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত ব্যব¯’া।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য:
প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী খালের পানি দূষণমুক্ত করা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, রামপুরা, গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকার যানজট নিরসনে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করা।
প্রকল্প বাস্তবায় ব্যয় :
হাতিরঝিল প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফা।
প্রকল্পের শুরুতে এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কিš‘ পরবর্তীতে গুলশান সংযোগ করে একটি ব্রিজ, রামপুরা এলাকায় দুটি ইউলুপ এবং সড়কের দৈর্ঘ্য কিছুটা বৈড়ে যাওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় বৈড়ে যায়। আর তাই আরও প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৬০ কৈাটি টাকা করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা।
অবশ্য এ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির ইতিহাস আরও পুরনো।
২০০৩-০৪ সালে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীনে। সে সময় জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সং¯’ার (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন তিন দফায় প্রকল্প পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হলে জাইকা সহায়তা প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দেয়। পরে ২০০৭ সালে ১/১১-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রকল্পটি ডিসিসির পরিবর্তে রাজউকের অধীনে নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকেই এর দ্রত বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়।
প্রকল্পের বর্তমান অব¯’া :
হাতিরঝিল প্রকল্পের মূল কাজ ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ শেষ হয়েছে । প্রকল্প পরিচালকের তথ্যমতে, উদ্ভোধনের দিন পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে বিনোদন পার্ক, মুক্তমঞ্চ, ফুলের বাগান এখনই করা হ”েছ না। উদ্বোধনের পর এগুলোর কাজ শুরু হবে। তবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগানো হয়েছ।
এ ছাড়া এক বছরের মধ্যে গুলশান অংশে একটি ভায়াডাক্ট এবং রামপুরায় প্রগতি সরণীতে দু’টি ইউ লুপ নির্মাণ করা হবে। আর ওয়াসা দাসেরকান্দি ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ শুরু করেছে। প্রকল্প পরিচালক ও রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস জানান, পাš’পথ থেকে রামপুরা ব্রিজ হয়ে বৃত্তাকার সংযোগ সড়ক তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পভুক্ত চারটি ব্রিজ, চারটি ওভারপাস, ৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেস রোড, ২৬০ মিটার ভায়াডাক্ট এবং প্রায় ১২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে কয়েক মিনিটেই কারওয়ান বাজার থেকে রামপুরা পৌঁছানো যাবে।
গুলশান, বাড্ডা যেতে লাগবে সর্বো”চ ৩০ মিনিট।
নয়নাভিরাম এই প্রকল্প রয়েছে ফুটপাত ছাড়াও নির্বিঘেœ হেঁটে চলার জন্য প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ। তেজগাঁও দক্ষিণ কুনিপাড়ার সামনের ব্রিজের সংযোগ সড়ক এবং টঙ্গী ডাইভারশন রোড-প্রগতি সরণি সংযোগ সড়কের পাশে একটি কার ও সাইকেল পার্কিং আর গুলশান অংশে একটি কারপার্কিং নির্মাণ করা হয়েছে। ঝিলে সব স্যুয়ারেজ কানেকশন বন্ধ করা হয়েছে। রাস্তার পাশে লাগানো হয়েছে সারিবদ্ধ বিভিন্ন দেশীয় ফুলের গাছ।
রয়েছে খেজুর আর তালগাছের সারি । রাজধানীর বাংলামোটর থেকে মগবাজার-টঙ্গী ডাইভারশন রোড পেরিয়ে একদিকে রামপুরা ও অন্যদিকে গুলশান-বাড্ডা এলাকা পর্যন্ত হাতিরঝিল প্রকল্প বিস্তৃত। হাতিরঝিল খালের সঙ্গে উত্তরে গুলশান-বনানী লেক এবং দক্ষিণে বনশ্রী এলাকার দাসেরকান্দি খাল সংযুক্ত হয়ে বিশাল জলাধারে পরিণত হবে।
মামলা কেন্দ্রিক জটিলতা :
শুরু থেকেই প্রকল্পটির ঘারে ছিল ৭৬টি মামলা। এর সবকটি ছিল ভূমি অধিগ্রহণ মামলা ।
এগুলো নিষ্পত্তির কারণে ২০০৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ মাঝপথে বারবার বাধাগ্র¯’ হয়। যে কারণে ২০১০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করতে পারেনি কতৃপক্ষ। বর্তমানে ৭০টি মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। বহুল আলোচিত বিজিএমইএ ভবন অপসারণের মামলাটি রায় হলেও এখনো তা অপসারণ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে হাতিরঝিল প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ড. মো. শামসুল হক বলেন, হাতিরঝিল প্রকল্প সম্পন্ন হলে রাজধানীতে প্রায় ১০ কিলোমিটার নতুন রাস্তা সংযোজন হবে।
এতে গুলশান, রামপুরা, বাড্ডা এলাকার সঙ্গে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান এলাকার যোগাযোগ সহজ হবে। প্রকল্পটি শেষ হলে রাজধানীর মধ্যাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। পাশাপাশি রাজধানীবাসীর বিনোদনকেন্দ্র হিসেবেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব:
প্রকল্পটি রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাজউক, ঢাকা ওয়াসা ও এলজিইডি বিভাগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো একটিকে অথবা হাতিরঝিল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি স্বতন্ত্র সং¯’া গঠন করে হাতিরঝিল প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পের উদ্ভোধন :
গণপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২জানুয়ারী’১৩ এ প্রকল্পটি উদ্ভোধন করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।