আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে(সি.সি.ইউ.-তে)একটানা বিপদজনক ২০ ঘন্টা কাটালাম..!! এবং কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। (২) এবং শেষ কিস্তি।



জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে(সি.সি.ইউ.-তে)একটানা বিপদজনক ২০ ঘন্টা কাটালাম..!! এবং কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। (২) এবং শেষ কিস্তি। রোগীর সঙ্গে সার্বক্ষনিক কয়েকজন লোক স্বভাবতই থাকে আবার তাদের প্রয়োজনও আছে। ঐ খানে ( সি সি ইউ-তে) রোগীর সঙ্গে ১ জন ছাড়া বাড়তি লোক থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। সি সি ইউ এর ভিতরে রোগীর সঙ্গে ১জন সার্বক্ষনিক যিনি থাকবেন তার জন্যে (মেঝেতে থাকতে হয়) একটি বালিশ, কম্বল এবং চাদর দেয়া যায়।

এবং বাইরে ছেলেদের জন্য সিসিইউ এর পশ্চিম প্বার্শে বসার জায়গার আছে এবং কেউ ইচ্ছ করলে আরও একটু উত্তর দিকে গেলে সুন্দর নিরিবিলি অন্ধকারাচ্ছন্ন করিডোর বা বারান্দা টাইপের আছে সেখানে চলমান ফ্যানও আছে, সেখানে ইচ্ছা করলে একটি সব বা পাটি বা মাদুর পেতে সুন্দর মতো ঘুমানো যাবে (চোখে ঘুম যদি আসে)। রাত জাগলে সার্বক্ষনিক সাথে পানির বোতল রাখা দরকার। সিসিইউ তে ঢুকতে একটি গেট সার্বক্ষনিক খোলা থাকে এবং সার্বক্ষনিক গার্ড থাকে। গার্ডরা যে কউকে ঢুকতে না দিয়ে বিরক্ত করতে পারে। এটা ওদের ক্ষমতা আছে (গেট পাশ থাকলে ভিন্ন কথা)।

কিন্তু আপানেকে ঢুকতে হবেই এর জন্যে আপাকেও ওদেরকে ১০ টাকা ( এতেই ওরা মহা খুশি) টিপস দিয়ে খুশি রাখা যায়। উল্লেখ্য তাদের ডিউটি পালাক্রমে ১২ ঘন্টা করে, এটা মাথায় রাখতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে টাকা দিয়ে অতিরিক্ত গেট পাশ নিতে পারেন। তবে সাধারনত সবাই ঐভাবেই যায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি দুর্নীতি বিরোধী হোন তারপরও আপনাকে ঢুকতে হলে ওদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাই ভালো হয়।

ওদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখলে আপনার অনেক উপকারও হতে পারে। যেমন ওরা আপনাকে রাতে থাকতেও সাহায্য করতে পারে। ওষধ কিনতে হলে হাসপাতালের নিচেই অন্তরা ফার্মেসি আছে ২৪ ঘন্টা খোলা কিন্তু ঐ খানে দাম একটু বেশি নিতে পারে এর জন্যে আপনি রাস্তার দক্ষিন পার্শে বেশ কিছু দোকান আছে সেখান খেকেও নিতে পারেন। দামটা স্বাভাবিক রাখবে। যেমন..সেবা ফার্মেসী, শ্যামলী ফার্মেসী......) এবারে খাবারঃ আপনি রাত ১২ টা পর্যন্ত অন্তরা ফার্মেসীর সঙ্গে হাসপাতালের সুন্দর মনোরম ক্যান্টিন আছে, আপনি সেখানে সব ধরনের খাবার পাবেন।

এছাড়া হাসপাতালের পূর্ব পাশে একটি দোকান আছে যেখানে রুটি, পরাটা, ডিম ভাজা সারা রাত পাবেন। এই হলো আমার কিছু অভিজ্ঞতা। জানি অনেকেই এই সব জানেন ঐখানে এসেছেন, থেকেছেন। আমার উদ্ধেশ্য যারা আমার মতো জানতেন না, তাদের এইসব জানা থাকলে সুবিধা হবে। এই লিখা যদি একজনেরও উপকারে আসে তাহলেই এর সার্থকতা।

সবাই ভালো থাকবেন আর নিজের প্রতি যত্ন নিবেন যাতে এখানে না আসতে হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.