শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের অপকর্মের খতিয়ান
( বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে বিরোধীতাকারী শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের অপকর্মের সংক্ষিপ্ত একটি খতিয়ান প্রকাশ করেছে ‘মুক্তধারা’ নামের একটি ওয়েবসাইট। ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত তথ্যবহুল নিবন্ধটিকে বাংলায় ভাষান্তরিত করেছেন নাঈমুল হোসেন চৌধুরী। নতুনদেশ ডটকমের পাঠকদের জন্য নিবন্ধটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। এই পর্বে রয়েছে গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিবরন। বি.স.)
মসজিদের নামে টাকা তুলে ম্যানচেষ্টারে বাড়ী বানিয়েছে গোলাম আজম !
পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দোসর এবং রাজাকারবাহিনীর আমির গোলাম আজম একজন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী।
১৯৭১ এর গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সাড়ে ৪ লক্ষ বাঙ্গালী নারীর সম্ভ্রমহানি এবং শত শত বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবি হত্যার পিছনের ঘৃণ্য পশু। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা থেকে উদ্ধারকৃত একটি ছবিতে গোলাম আযম এবং তার শীর্ষ সহকারী মতিউর রহমান নিজামীকে প্রগতিশীল বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবিদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য তাদের একটি তালিকা পাকিস্তানী জেনারেলদের হাতে দিতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গীবাদের হোতা এই গোলাম আযম ৭০হাজার রাজাকার, আল -বদর এবং আল – শামস্ বাহিনীর প্রধান ছিল।
মওদুদীর কাছ থেকে জরুরী টেলিগ্রাম পাওয়ার পর গোলাম আজম তার সাথে দেখা করার জন্য ১৯৭১ সালের ২২শে নভেম্বর লাহোর রওনা হয়। শেখ মুজিব সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিল করার কারণে সে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারেনি।
বাংলাদেশে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়ে এই প্রধান অপরাধী হজ্জ্বের উদ্দেশ্যে মক্কা গমন করে। শেখ মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা এবং একটি প্রতি -বিপ্লব ঘটানোর উদ্দেশ্যে সে সৌদী আরব থেকে গোলাম আযম দুবাই, আবুধাবী, কুয়েত, বৈরুত এবং লিবিয়া গমন করে। তার ক্রমাগত আন্তর্জাতিক জনসংযোগের পর সে লন্ডন পৌঁছায়। লন্ডন থেকে সে দৈনিক সংগ্রাম নামে একটি জামাতি পত্রিকা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রকাশ করে। ১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা লন্ডনে গোলাম আযমের কর্মকান্ডের ওপর একটি কৌতুহলউদ্দীপক রিপোর্ট প্রকাশ করে।
বিস্তারিত Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।