শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।
আমার কাছে বাংলাদেশে যত রকম মাছ পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচে' স্বাদু ১০ মাছের একটি পার্শে। আকার আকৃতি এবং দেখতে বাটা ও টাটকিনি মাছের মত হলেও এ মাছের তিনটি বৈশিষ্ট্য হ'ল, মাঝখানেরটা বাদে আর কোন কাঁটা নেই এ মাছে (পেটে দু-চারটা ছাড়া) । আছে প্রচুর মজাদার তেল। এ মাছের নিজস্ব একটা গন্ধও আছে যা খিদে উদ্রেক করে।
মাছের কাঁটা বাছা যাদের কাছে বিরম্বনা, তারা আয়েস করে খেতে পারেন।
মাস খানেক হ'ল পার্শে মাছ বাজারে উঠছে। আরো কিছুদিন পাওয়া যাবে।
অত্যন্ত্য সহজ এই রান্নাটা যে কেঊই রেঁধে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন।
ক।
ঊপকরণঃ
১। পার্শে (ফাইস্যা) মাছঃ ১/২ কেজি।
২। সর্ষের তেলঃ ৬ চা চামচ।
৩।
কাঁচা মরিচঃ ১৫০ গ্রাম, মাঝখান দিয়ে ফালা করা
(স্বাদ ও মরিচের ঝালঅনুপাতে)।
৪। পেঁয়াজ কুচিঃ ২৫০ গ্রাম।
৫। হলুদঃ ১ চা চামচ (সমান সমান)।
৬। লবনঃ স্বাদমত।
খ। প্রণালীঃ দুই চা চামচ সর্ষের তেল তুলে রেখে বাকি সমস্ত উপকরন একসাথে মিনিট পাঁচেক মাখান। ঢেকে রেখে দিন ৩০ মিনিট (মারিনেট করুন)।
তারপর অতি অল্প আঁচে ১৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। পেঁয়াজ আর মাছ থেকে পানি উঠে ঝোল হয়ে যাবে। যদি ঝোল খেতে চান তা'লে বাকি দু'চামচ সর্ষের তেল মাছে ঢেলে ২ মিনিট পর নামিয়ে নিন। যদি চচ্চরি চান তালে ঝোল টেনে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ও তারপর সর্ষের তেল দিয়ে নামান।
আমার কাছে ঝোলটাই মজা লাগে অনেক বেশী।
নতুন ওঠা আলা চালের (আতপ) ভাত দিয়ে বা বিন্নি চালের ভাত দিয়ে খেতে অসাধারন। আঊস কিন্তু সবে উঠেছে।
বাশঁফুল (টেপি বোরো) ও থাই ল্যান্ডের একটা চাল "জেসমিন" দিয়ে খেতেও খুব ভাল্লাগবে।
এই রান্নায় পানি দেয়া নিষিদ্ধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।