আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আকাশের ঠিকানায় ভাসিয়ে দেওয়া চিঠিগুলি........


আকাশলীনা- আজ প্রথম এ নাম ধরে ডাকলাম তোমায়। যখন তোমার খুব প্রিয় এ নামটির কথা জেনেছিলাম; তখন তুমি অনেক দূরে। ঐ আকাশেই বিলীন হয়ে গেছো; সাথে নিয়ে রাশি রাশি ক্রোধ, দুঃখ, অভিমান, আর আমার প্রতি অপরিসীম অনুযোগ ও ব্যাবচ্ছেদের ঝুলি। তোমার সে অকারণ অভিমানকেই শ্রদ্ধা জানিয়ে আমিও পিছু ডাকিনি তোমায়। অবুঝ ছিলাম।

কিছুটা নির্বোধও হয়তোবা। অথবা ছিলাম বোকা এক অংহকারী। তাইতো আমাদের সাজানো ফুলবাগানে- প্রজাপতি উড়লোনা, আমাদের কল্পিত সুন্দরবন- কোনো হরিন শিশুর ছুটোছুটিতে মুখর হলোনা। তবুও অনেকদিন পর- আমাদের সেই স্বপ্নভুমিতে পা দিতেই, মনে পড়ে গেলো তোমাকে। একনিমিষে সাঙ্গু নদীর পাড় ঘেষে দাড়ানো রাখাইন বালিকা রুপান্তরীত হলো সুদূরের এক আকাশলীনায়।

কেমন আছো আকাশলীনা? আজ অনেকগুলো দিনের পরে হঠাৎ খুব জানতে ইচ্ছে করে। কেমন আছো তুমি? বিস্তীর্ন সবুজ অবারিত প্রান্তর জুড়ে খেলে বেড়াচ্ছে দুটি ফুটফুটে চন্চল আদিবাসী শিশু মেয়েটা যেন প্রজাপতি আর ছেলেটা ছটফটে সেই হরিন শাবক। তোমাকে খুব বেশী মনে পড়ছে আজ; কেমন আছো আকাশলীনা ? প্রতিত্তর শেষ পর্যন্ত মনে পড়লো আমাকে? হ্যা, বেশ ভালোই আছি আমি। সুখ সাচ্ছন্দ বিত্ত বৈভব; মানুষ যা কিছুকে সুখে থাকা বলে কোনোটার কমতি নেই আমার। তাহলে বলো সুখী বলবোনা কেনো আমাকে? আমার সকাল শুরু হয় ভোরের সূর্য্যের আলোর স্পর্শে, বারান্দায় ইজিচেয়ারে এক কাপ চা আলস্যের আড়মোড়া, খবরের কাগজ; কিছুপরেই অফিসের ব্যস্ততা, স্কুলের টিফিন, ব্যাগ সংসারের হাজারো কাজ, শ্বাসুড়ি, আত্নীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব ছুটির দিনে লং ড্রাইভ, দাওয়াৎ , আর দশটা সংসারে যা কিছু আছে তার দশগুণো বেশীই আছে আমার।

তাহলে তুমিই বলো, আমি কি সুখী নই? সেই লালিত স্বপ্নের মতই এক ফুটফুটে চন্চল প্রজাপতি আজ উড়ে বেড়ায়- আমার অলিন্দের অলিগলি জুড়ে। নৃত্যকলায় এবারে ন্যাশনাল এওয়ার্ড পেয়েছে সে। ছেলেটা দারুন আবৃত্তি করে। ওর নাম দিয়েছি আমি মৃগ। কোনো স্বপ্নই বিফল হ্য়নি আমার।

শুধু তোমার পাশে আজীবন কাটিয়ে দেবার স্বপ্নটুকু ছাড়া।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।