শুভেচ্ছা মতিঝিলের ঘটনায় সরকার দাবী করেছে কেউ হতাহত হয় নি। তার চেয়েও বড় দাবী কোন লাশ গুম হয় নি। বিএনপির গায়েবানা জানাজা নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করতে দেখা যায় সরকারের লোকজনকে।
কিন্তু আল জাজিরার এক ভিডিওতে দেখা গেল আবদুল জলীল নামে একজন বোবা কালা ব্যক্তি দাবী করছেন ১৪ জন দাড়িওয়ালা গুলিবিদ্ধ মৃত ব্যক্তিকে সে কবর দিয়েছে। যা খুবই উদ্বেগজনক।
আল জাজিরা দাবী করছে সরকার মৃতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করেছে। নীচে আল জাজিরার ভিডিও রিপোর্টের লিংক:
http://www.aljazeera.com/news/asia/
(ভিডিও লোড হতে একটু সময় লাগছে। ৫ মিনিটও লাগতে পারে)।
এ নিয়ে আমার দেশের রিপোর্ট:
আল জাজিরার বিশেষ প্রতিবেদন : রাতে জুরাইনে দাফন করা হয় শাপলা চত্বরে নিহত ১৪ মুসল্লির লাশ
কাতারভিত্তিক খ্যাতনামা টিভি স্টেশন আল জাজিরা জানিয়েছে, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকার।
চ্যানেলটির কাছে যে নতুন ভিডিও ফুটেজ এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
মঙ্গলবার রাতে এই খবর প্রচার করে আল জাজিরা। চ্যানেলটির ওয়েবসাইটেও খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শেষ রাতে গাড়ীতে লাশ তোলা হচ্ছে।
জুরাইন কবরস্থানের কবর খননকারী আবদুল জলিল জানান, সেই রাতে তিনি ১৪ জন দাড়িওয়ালা লোককে কবর দিয়েছেন। তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার বলছে, ৬ মে ভোররাতে অপারেশন ফ্লাশ আউটে কোনো মুসল্লি মারা যায়নি।
হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, ঘুমন্ত ও ইবাদতরত মুসল্লিদের ওপর গুলিতে অন্তত ৩,০০০ লোক নিহত হয়েছে।
এশিয়ার হিউম্যান রাইটস কমিশন জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২,৫০০ এরও বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন অধিকার বলেছে, শাপলা চত্বরে শত শত লোককে হত্যা করা হয়েছে। এরপর ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে করে লাশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট বলছে, অন্তত ৫০ জন লোক নিহত হয়েছে শাপলা চত্বরে।
রিলেটেড পোস্ট: হেফাজত হত্যাকান্ডের নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।