শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, "বিভিন্ন স্থানের সড়ক পথে পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। যাতে সমাবেশে জনসমাগম কম হয়। এরপরও আমরা ঘোষণা করতে চাই, আগামীকাল শাপলা চত্বরে স্মরণকালে জনসমাগম ঘটবে। "
তিনি জানান, শনিবার দুপুর ২টায় মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ শুরু হবে। এতে বিরোধী দলীয় নেতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।
"
১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে ‘সাভার ট্র্যাজেডি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতাদের মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও অযোগ্য-ব্যর্থ সরকারের দাবিতে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে মহানগর পুলিশ ১৩টি শর্তে ১৮ দলীয় জোটকে শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যায় এই সংবাদ ব্রিফিংয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, "শনিবারের সমাবেশকে বাঁধা দিতে সরকার বিভিন্ন রুটে পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কাছে খবর আসছে, ঢাকার বাইরে থেকে যেসব নেতা-কর্মীরা আসতে চাচ্ছেন, তাদের ঠেকানোর অপচেষ্টা করছে সরকার। ’’
তিনি জানান, সমাবেশকে শান্তিপূর্ণ করতে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবুল খায়ের ভুঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুব দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, সংসদ সদস্য শাম্মী আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সেলিম রেজা হাবিব, হেলেন জেরিন খান, কেন্দ্রীয় নেতা তকদির হোসেন মো. জসিম, রফিক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাত ৮টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকাসহ নেতৃবৃন্দ শাপলা চত্বর সমাবেশস্থল পরির্দশন করেন। মঞ্চ নির্মাণ ও মাইক লাগানোর কাজ রাতেই শুরু হবে বলে জানান তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।