বিজিএমইএ ভবন এভাবে থাকলে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি ব্যাহত হবে। বিজিএমইএ ভবন জলাধার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন করে নির্মিত, এই ভবনের নকশার অনুমোদন নেই এবং ভবনটি নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত, যা রাজধানীর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী নিষিদ্ধ। ভবনটি সরানো না হলে বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আবার ভবনটি রাখতে হলে এর এক পাশের রাস্তা এবং অন্য পাশের উঁচু জায়গায় তৈরি বৈধ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙতে হবে। সেক্ষেত্রে জায়গা অধিগ্রহণসহ আনুষঙ্গিক খরচ পড়বে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাজউক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ঢাকা ওয়াসা এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। মগবাজার-পরীবাগ-কারওয়ান বাজার-তেজগাঁওসহ রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পাশাপাশি এ প্রকল্পের মাধ্যমে মালিবাগ, রামপুরা এলাকার যানজটও কমবে। সোনারগাঁও হোটেলের পেছন থেকে রামপুরা সেতু হয়ে প্রগতি সরণি পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক ও নর্দমা নির্মিত হচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ভবনটি ভাঙ্গার দাবী উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরাও ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার কথা বলছেন। এখন এটি সরকারের পদক্ষেপের অপেক্ষায়।
বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙ্গার পক্ষে থাকলে "প্লাস(+)" আর বিপক্ষে থাকলে "মাইনাস(-)" দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।