বিদ্যুতের দাম গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে রোববার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিবৃতিতে পোশাক শিল্পের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে, “শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে সেচে ব্যবহৃত কৃষি পাম্পের অনূরূপ পোশাক শিল্পে বিদ্যুৎ মূল্য অপরিবর্তিত রাখার বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনার জন্য বিজিএমইএ সরকারকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছে। ”
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ১৩ মার্চ বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ালেও কৃষিকাজে ব্যবহৃত পাম্প বা সেচ গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ২ টাকা ৫১ পয়সা অর্থাৎ ‘অপরিবর্তিত’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ফ্ল্যাট রেট ৯ টাকা থেকে বেড়ে ৯ টাকা ৫৮ পয়সা করা হয়েছে। ‘অফ-পিক’ রেট ৭ টাকা ২২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ১৬ পয়সা করা হয়েছে।
তবে পিক সময়ে বিদ্যুতের দাম ১১ টাকা ৮৫ পয়সা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিদ্যুতের দাম গড়ে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৈরি পোশাক শিল্পে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুতের এই মূল্যবৃদ্ধি পোশাক শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা আরও হ্রাস পাবে।
বিজিএমইএ’র মতে, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে স্থানীয় পর্যায়ে শিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য কমে যাওয়ার বিপরীতে শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় মালিকরা সঙ্কটে রয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
“এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সম্পৃক্ত থেকে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আর এ কাজে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।