সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
নাটোরের’রানী ভবানী মহিলা কলেজে বোরকা না পরলে আসতে মানা’শীর্ষক প্রতিবেদন একটি দৈনিকে প্রকাশিত হওযার পর তা আদালতের দৃষ্টিতে আনা হলে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে বোরকা পরতে বাধ্য না করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন বেঞ্চ গত ২২ আগস্ট ২০১০ এই আদেশ দেয়। সুপ্রীমকোর্টের দুই আইনজীবী মাহবুব শাফি ও কেএম হাফিজুল আলমের দায়ের করা জনস্বার্থ রিট আবেদনে আদালত স্বপ্রেণোদিত হয়ে এই আদেশ দেয়। এই আদেশ ধর্মীয় পোশাক বা বোরকা পরার বিরুদ্ধে এই আদেশ জারি করা হয় নাই। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে জোরপূর্বক বোরকা পরানোর বিরুদ্ধে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
অথচ একটি মহল এই আদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতির ধুয়া তুলে জনসমর্থনের অপচেষ্টায় হাইকের্টের রায়কে ভুল ব্যাখ্যা করে প্রচার করা হচ্ছে বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হলেও এখানে বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষার্থীরা একই সাথে শিক্ষাগ্রণকরে, সেখানে মুসলিম ছাত্রীরা যদি বোরকা পড়ে তাতে কেউ বাধা দেবার নেই, তেমনি যদি কেউ হিজাব বা বোরকা না পড়ে তাকে জোর করে বোরকা পাড়ানো যাবেনা এটাই ঐ রায়ের মোদ্দা কথা। অর্থাৎ বোরকা পরতে কাউকে বাধা ও বাধ্য কোনটাই করা যাবেনা। সতরাং ভুল ব্যাখ্যা করে জামায়াতসহ উগ্র জঙ্গীবাদীদের ফায়দা লুটবার কোন অবকাশ নাই।
এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।