যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা দুটি গ্রিক মহাকাব্য ইলিয়াড এবং অডিসি। সেই আদিকাল থেকে অদ্যাবদি যেগুলোর জনপ্রিয়তা এতটুকু ম্লান হয় নি। এ রকম দুট কালজয়ী সাহিত্যকর্মের রচয়িতা মহাকবি হোমার।
কিন্তু এই কবির জন্মবৃতান্ত সম্পর্কে খুব বেশী জানা যায় নি। সে কারণে তাকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিভ্রান্তি।
একজন জার্মান সমালোচক ও দার্শনিকের অভিমত, ইলিয়াড কাব্যটি এককভাবে হয়ত হোমারের রচিত নয়। এটি আসলে জাত মহাকাব্য। এই সুবৃহত মহাকাব্যটি হয়তো প্রাচীন গ্রীসের বেশ ক জন গ্রাম্য স্বভাবকবি কর্তৃক রচিত।
বিভিন্ন কবির রচিত খন্ড খন্ড অংশ একত্রিত করেই সৃষ্টি হয়েছে ইলিয়াড। এর মধ্যে হোমারের রচিত অংশ আছে।
কথিত আছে হোমার ছিলেন অন্ধ ও নিঃস্ব দরিদ্র একজন ভিক্ষুক। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় গুন ছিল তিনি চমতকার সুরে গান গাইতে পারতেন।
হোমার ইলিয়াডের পদ্যাংশ অনবদ্য সুরে পথে-পথে গেয়ে বেড়াতেন আর ভিক্ষা করতেন।
তাই পরবর্তী সময়ে এই গান গুলো হোমারের নামেই পরিচিত হয়ে যায় এবং লোকচক্ষুর অন্তরালে হারিয়ে যায় এর সত্যিকারের রচয়িতাদের নাম-পরিচয়।
সাহিত্য সমালোচক স্যামুয়েল বাটলার হোমারের অডিসি সম্পর্কে দিয়েছেন আরো মজার তত্ত্ব। তিনি বলেন, অডিসি মহাকাব্যটি আদৌ হোমার রচিত নয়। এর প্রকৃত রচয়িতা এক মহিলা। তবে সেই সময়ে হোমার নামে এক মহাকবি ছিলেন।
তিনি ওই মহিলার রচিত কাহিনীকে বর্তমানরুপ দেন।
তবে যে অনুমানই সত্য হোক না কেন আসল কথা হল হোমার ছিলেন এক মহান কবি এবং মস্তবড় গায়ক।
এই দুটি মহাকাব্য প্রাচীন গ্রীক ও রোমানদের মধ্যে সেইকালে দারুন প্রভাব বিস্তার করেছিল। গ্রিসের গোটা শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রতীক্স্বরূপ ছিল এই ইলিয়াড ও অডিসি। এই দুটি কাব্য ইউরোপীয় সাহিত্যধারারও মূল সুত্র ছিল, যা নাকি শেষ হয়েছিল ভার্জিল ও দান্তে পর্যন্ত এসে।
মহাকবি হোমার ঠিক কত আগে জীবিত ছিলেন তারও সঠিক ইতিহাস কারো জানা নেই। ঐতিহাসিক হেরোটোডাস বলেছেন, হোমার এবং হেসিয়ড নামে দুজন কবি অন্তত তাদের (হেরোটোডাসের) কাল থেকে ৪০০ বছর আগে জীবিত ছিলেন।
ইলিয়াড ও অডিসি-স্যামুয়েল বাটলারের অনুবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।