গণভবনে বুধবার আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার শুরুতে প্রারম্ভিক বক্তব্যে শেখ হাসিনা ‘প্রথম আলোর’ নাম উল্লেখ না করে বলেন, “এই পত্রিকার চরিত্র কে না জানে? এই জরিপের বিশ্বাসযোগ্যতা কী?”
“বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়”, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ১১ মে প্রকাশিত এক জরিপে প্রথম আলো দাবি করেছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে আছে ৬৪ শতাংশ লোক।
জরিপটি পরিচালিত হয় দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগের ৩০টি জেলা শহর ও গ্রামের তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে তিন হাজার লোকের ওপর এই জরিপ চালানো হয়েছে।
“আওয়ামী লীগ করে যে বিশাল জনগোষ্ঠী- তারা কোথায় গেলো?”, প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোটের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ওই ৪৮ ভাগের মতামত কোথায় গেলো?”
“এক-এগারোতে এ ওই পত্রিকার ভূমিকার কী ছিলো- তা কেউ ভুলে যায়নি। ”
সম্প্রতি শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে প্রথম আলোর গল্প প্রকাশ এবং পরে তা প্রত্যাহার ও দুঃখ প্রকাশ করার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে অসভ্য লেখা ছাপলো। তারপর, মাফ চাইলো। এই হলো চরিত্র। ”
গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবাইকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকারও আহবান জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রথম আলোর এই জনমত জরিপের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কাগজটি মাইনাস টু থিওরির পক্ষে ছিল।
শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে প্রথম আলোর গল্প প্রকাশ এবং পরে তা প্রত্যাহার ও দুঃখ প্রকাশ করার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “এই স্যরির কোনো মূল্য নাই। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।