‘গর্ভবতী’ কথাটা পুরুষের ক্ষেত্রে ভুল প্রয়োগ। শুদ্ধভাবে লিখলে হতো ‘গর্ভবান’। কিন্তু প্রকৃতি মাঝে মাঝে তার নিয়মের ব্যতিক্রমও করে। তাই আমাদেরও এই ব্যতিক্রমী শিরোনাম! আমরা জানি, প্রকৃতি তার বংশবৃদ্ধির জন্য সব সময় বেছে নেয় নারী প্রজাতিকে। কিন্তু কখনো কখনো উল্টোটাও হতে পারে।
এমনটা দেখা যাচ্ছে ‘সি হর্স’-এর বেলায়। নাম শুনে মনে হবে এটি বুঝি কোনো ঘোড়া। আসলে তা নয়, এটি একটি মাছ, যা সমুদ্রেই বসবাস করে। দেখতে অনেকটা ঘোড়ার মতো, তাই এরকম নামকরণ। বাংলা ভাষায় একে আমরা ঘোড়া মাছ বলেই জানি।
এই প্রাণিটিকে উত্তর আমেরিকা, দণি আমেরিকা এবং মধ্য আমেরিকায় বেশি দেখা যায়। সাগরের নিচে যে প্রবাল থাকে কিংবা মোহনায় এরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
মজার ব্যাপার হলো, মাছ হওয়া সত্ত্বেও এদের গায়ে কোনো আঁশ নেই, স্তন্যপায়ীদের মত চামড়া আছে। আরও মজার ব্যাপার হলো সি-হর্সদের মধ্যে শুধু পুরুষ প্রজাতিই গর্ভধারণ করে এবং বাচ্চার জন্ম দেয়।
পুরুষ প্রজাতিরা তাদের পেটের নিচে একটা থলির মতো জিনিস বহন করে, আর মেয়ে সি-হর্স সেখানে ডিম ছাড়ে।
ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়া পর্যন্ত পুরুষ সি-হর্স থলের ভেতরে ডিমগুলো বহন করে। একসাথে ডজনখানেক থেকে এক হাজার পর্যন্ত ডিম তারা বহন করে।
আরও একটা ব্যাপার আছে, সি-হর্স সবসময় মনোগ্যামি। অর্থাৎ বিপরীত লিঙ্গের একজন নারী বা পুরুষের সঙ্গেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। অন্য মাছের মধ্যে সাধারণত এটি দেখা যায় না।
তবে সি-হর্সদের ব্যতিক্রমী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অনেক কিছুই এখনও বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।