জাবি, ২৬ আগস্ট (শীর্ষ নিউজ ডটকম): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ৫ জুলাই ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে স্থায়ী ও ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ ঘটনায় প্রতিটি হলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
যে কোন সময় আবারো সহিংসতা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ক্যাম্পাসে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুপুর থেকে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন- মো: আরিফ হোসেন (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৩৮তম ব্যাচ), সুভাশিষ কুন্ডু টনি (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ), এ কে এম শাহাদোত হোসেন রেজা (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৩৫তম ব্যাচ), হাসনাঈন নাহিয়ান সজিব ( নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ), মো: আলমগীর হোসেন (বাংলা বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ) ও উজ্জল কুমার বাকচি (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৩৭তম ব্যাচ)।
এছাড়া ছালীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্যকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ৫ জনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এরা হলেন মো: রাকিবুল হোসেন রানা, পরিতোষ চাকমা, তনয় রায়, এস এম ফাতেকুল বারী তন্ময় ও রবিউল ইসলাম সূর্য। তিন জনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন- মো: আরিফুল হক, এনায়েত কবির এমিল ও বিজয় কুমার দাশ।
তিন মাসের জন্য ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন- শিহাবউদ্দিন আহম্মেদ, মো: আমিনুল ইসলাম, অনিক কুমার সাহা, রাসেল মিয়া ও মো: মোসাদ্দেক আলী।
এছাড়া জুনায়েদুল হক পরভেজ ও হাসিনুর রহমান মুন্সিকে দুই মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, আমি করি বহিষ্কৃৃতরা অবিলম্বে ক্যাম্পাস ত্যাগ করবে।
এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য এ বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সমপ্রতি ক্যাম্পাসে ব্যাপক অনিয়ম ও মেধার অবমূল্যায়ন করে জামায়াত শিবিরের লোককে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার প্রতিবাদ করায় উপাচার্য ছাত্রলীগের উপর ক্ষিপ্ত হন। উপাচার্য পরিকল্পিতভাবে ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষে ইন্ধন দেন। এখন এ বহিষ্কারের মাধ্যমে মূলত ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে চায়।
অবিলম্বে এ বহিষ্কারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে তারা জানান।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩০ জন গুরুতর আহত হয়। ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে ঘটনার সাথে জড়িত ১৭ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।