আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অধিকারের অর্থের উৎস সন্ধানে দুদক

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের আর্থিক উৎসের সন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা সংস্থাটির ব্যাংক হিসাব, কর্মকতা-কর্মচারীর তালিকা, খরচ ও অনুদানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। এনজিওবিষয়ক ব্যুরো থেকে গতকাল কিছু কাগজপত্র সংগ্রহও করা হয়েছে। দুদক অধিকারের কাছেও একই ধরনের তথ্যাদি চেয়ে আজ চিঠি দিতে পারে।

কর্মকর্তারা জানান, চিঠিতে সাত দিন সময় বেঁধে দেওয়া হবে।

অভিযোগ রয়েছে, মানবাধিকার সংস্থাটি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা দাতাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ অনিয়মের মাধ্যমে ব্যয় করছে। অধিকাংশ অর্থ আবার অবৈধভাবে বিদেশে পাচারেরও অভিযোগ উঠেছে। যার পরিমাণ চার কোটি টাকারও বেশি হতে পারে। দুদককে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর প্রকল্প-১ বিভাগ।

অধিকারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান গত ৯ আগস্ট ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্র জানায়, অধিকার বিদেশি তহবিল থেকে কী উদ্দেশে কত আর্থিক অনুদান এনেছে, তার সমুদয় তথ্য এনজিওবিষয়ক ব্যুরো থেকে সংগ্রহ করেছে দুদক। কয়েক দিন আগে একটি মাধ্যম থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর কমিশন এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুসন্ধান দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মো. হারুন-আর-রশিদ।

সূত্র আরও জানায়, বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকার চার কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ২১৯ টাকা বিদেশি তহবিল গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দুই কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার ৩২১ টাকা ছাড় করেছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। তিনটি প্রকল্পের মধ্যে এডুকেশন অন দ্য কনভেনশন এগেইনেস্ট টর্চার অ্যান্ড অপিসিএটি অ্যাওয়ারনেস শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটি এনেছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭১৪ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত। হিউম্যান রাইট রিচার্স অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭ লাখ ৬১ হাজার ১৫৫ টাকা তহবিল গ্রহণ করেছে।

প্রকল্পের মেয়াদ ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত। আর এমপাওয়ারিং ওমেন এজ কমিউনিটি হিউমেন রাইট ডিপেন্ডার নামক প্রকল্পের জন্য ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

জানতে চাইলে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হারুন-আর-রশিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'অধিকারের মানি লন্ডারিং নিয়ে একটি অভিযোগ আসে গত মাসের মাঝামাঝিতে। পরে কমিশন অনুসন্ধানের অনুমতি দেয়।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরো থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। এখন তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ' এনজিও ব্যুরোর পরিচালক (প্রকল্প-১) কে এম আবদুস সালাম বলেন, 'দুদকের চিঠি পেয়ে আমরা অধিকারের বিদেশি তহবিলপ্রাপ্তির বিষয়ে তথ্য দিয়েছি। '

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.