নারী কার কাছে অধীকার চায় ?
নারীর অধিকার নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই। নারী যখন তার অধিকার চায় তখন কার কাছে চায় ? নিশ্চয় মানুষ্য সমাজের কাছে। সেখানে নারী আর পুরুষ ছাড়া যেহেতু অন্য জাতের উপস্থিতি নেই,তাই নারী তার অধিকার পুরুষ জাতির কাছেই চায়। তাহলে ব্যাপারটা দাড়াচ্ছে নারী তার অধিকার দাবী করছে পুরুষের কাছে। কোন পুরুষ কি ব্যক্তিগতভাবে তার উপর নারীর কতৃত্ব পছন্দ করবে ? অথবা ব্যক্তিগতভাবে কি সে নারীকে তার সমপর্যায়ের অধিকার দিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রনের মজা থেকে বঞ্চিত হবে ? অবশ্যই নয় কারণ পুরুষ মাত্রই চায় নারী যেন তার কথামত চলে ,তাকেই পছন্দ করে, তার অনুগত হয়, তাকে ভালবাসে, তার জন্য জীবন উজাড় করে দেয়।
সমমর্যাদা সম্পন্ন হলে এখানে নারীর থেকে সে এত মজা লূটতে ব্যর্থ হবে।
আমি যা বলছি তা আসলে কু-চরিত্র বা সু-চরিত্র সম্পন্ন মানুষের কথা নয় বরং পুরুষ সমাজের এটি হলো একটি বৈশিষ্ট্য এবং এটি Built in যা প্রকাশ্যে বা গুপ্তভাবে থাকতে পারে,এ ব্যাপারটি সে অস্বীকার করলেও এটি তার অজান্তেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে- তার বিভিন্ন আচরনের মাধ্যমে এবং নীতি প্রনয়নের মাধ্যমে যেমন- কোন পুরুষ ফ্যাশন ডিজাইনার নারীর জন্য যে ডিজাইনের ড্রেস তৈরী করে(এ মুহুর্তে পুরুষ ফ্যাশন ডিজাইনারদের সংখ্যা নারী ডিজাইনারদের চাইতে অনেকগুণ বেশী),তা ঠিক সেভাবেই তৈরী করে- যেভাবে সে নারীকে দেখতে পছন্দ করে। ড্রেসটি পরলে নারীর শরীরের কোন অংশ কিভাবে ফুটে উঠবে এবং তা তাকে কতটুকু হট্ করবে,আনন্দ দিবে ,সেদিকটি চিন্তা করেই প্রত্যেক পুরুষ ফ্যাশন ডিজাইনার ফ্যাশন সামগ্রী তৈরী করে। নারী সেই ড্রেস পরে খুশি হলেও বা নিজেকে মহা অধিকার সচেতন মনে করলেও মূলতঃ সে একজন পুরুষের ইচ্ছায় চলছে এবং অন্যের মরোরঞ্জনে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেখানে একজন পুরুষ তার নিজের ইচ্ছামত নারীকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে,সেখানে তো তার উপর পুরুষের ইচ্ছাই বাস্তবায়িত হচ্ছে (এভাবে আরও অনেক ক্ষেত্রে চিন্তা করলে দেখা যায় নারী মূলতঃ পুরুষের ইচ্ছার বলী ,তাই নারী অধীকার রক্ষা করতে হবে এ শ্লোগান পুরুষদেরকেও দিতে দেখা যায়)।
তাহলে নিরপেক্ষতা বা সমঅধিকার বা ন্যায় বিচার এ ব্যাপারগুলোর কি হবে ? তবে কি নারী ও পুরুষকে উন্নত মর্যাদা দিতে পারে বা তাদেরকে তাদের কাজ বিশ্লেষণ করে নিরপেক্ষভাবে মর্যাদা, পারিশ্রমিক দিতে পারে, মূল্যায়ন করতে পারে অর্থাৎ একটা নিরপেক্ষ ফলাফল উপহার দিতে পারে এমন বিধান বা পরিচালনার নীতির উপস্থিতি কি অমূলক ? এমন কি কোন নীতি থাকতে পারে না,যা মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখবে ? যেখানে তাদের এক পক্ষ অন্য পক্ষ কর্তৃক শোষিত হবেনা ? এ সংক্রান্ত বিষয়, ইসলামে নারী অধিকার অংশে আলোচিত হবে, আপাতত সামনে যাই...
নারী অধিকার
পশ্চিমারা বলে তারা নারীর মর্যাদা রক্ষা করেছে। নারীকে তারা পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছে। নারীর স্বাধীনতা, স্বাতন্ত্র সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন পদ্ধতিও আছে। নারী-পুরুষের মধ্যকার বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে নারীর রাষ্ট্রীয়,সামাজিক,রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য জাতি সংঘ ১৯৭৫ সালকে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে এবং ১৯৭৬-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সময়কে নারী দশক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জাতি সংঘ নারীর প্রতি সকল বৈষম্য লোপ সনদ বা ÒConvention of the Elimination of all Forms of Discrimination Against WomenÓ (CEDAW) প্রকাশ করে।
১৮৫৭সালের ৮ই মার্চ দৈনিক ১২ ঘন্টা পরিশ্রম,নিম্ন মজুরী,অমানুষিক নির্যাতন ও খাদ্যের অভাবের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুই কারখানার নারী শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপর তারা তাদের নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনিয়ন গঠন করে। এই আন্দোলনের ফলাফল হল-১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়(তখন থেকে নারীদের উদ্দেশ্যে বছরে একবার করে মায়া-মমতা মিশ্রিত বাণী প্রচারিত হচ্ছে। এটাই নারীদের প্রাপ্তী। অবশ্য সেই বাণীও সবসময় নিরাপদ নয়,এর মধ্যে ব্যবসার গন্ধ পাওয়া গেছে অনেক সময়।
যেমনঃ ২০০৮ সালে নারী দীবসের শ্লোগান ছিল-“নারী ও কন্যা শিশুর উন্নয়নে বিনিয়োগ”। হায় পরিতাপ ! নারীরা যদি বুঝত,গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদ নারীকে ব্যবসায়িক পণ্যের উর্ধ্বে স্থান দেয়নি ! ) । এর পূর্বে,পরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ বিষয়ে বহু সম্মেলন হয় এবং নারীর অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বহু সংগঠন,সনদ,আইন-কানুন-বিধি তৈরী হয়েছে। নারীর অধিকার বাস্তবায়নে পাশ্চাত্যের মুরব্বীরা প্রতিনিয়ত বক্তৃতা বিবৃতি নসিয়ৎ করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন নারীবাদী সংগঠন এ ব্যাপারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে অতঃপর তাদের দেশেই নারীর হাল হকিকত কি, তা একটু দেখে নেয়া যাক ঃ
পারিবারিক নির্যাতন ঃ যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা,কলম্বিয়া সহ ১০টি ধনী দেশে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে সকল দেশের প্রতি ৩জন নারীর মধ্যে ১জন তার স্বামী বা ঘনিষ্ট পুরুষ সঙ্গীর দ্বারা নির্যাতিত হয়। (সূত্রঃসোসাল প্রবলেম,অ্যানুয়াল এডিশন ০২/০৩ পৃষ্ঠা-৯২) আমেরিকার জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট এর ১৯৯৮ সালে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী-যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৯ লক্ষ ৬০ হাজার পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
আর প্রায় ৪০ লক্ষ নারী তার স্বামী অথবা বয় ফ্রেন্ডের দ্বারা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়। (২০১৩ সালে এসে এ ব্যাপারটি আরও ভয়াবহ হয়েছে)
“পশ্চিমা সমাজে প্রতি ৬ দম্পতির মধ্যে ১ দম্পতি পরষ্পর মারা-মারি হানা-হানিতে লিপ্ত হয়। এর মধ্যে শতকরা ৪০% মারাত্মক ধরনের। ” (সূত্রঃ ক্রিমিনোলজি,পৃঃ২৯৯)
“বছরে ২-৪ লক্ষ নারী স্বামী কর্তৃক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। মার্কিন নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হল ঘরোয়া সহিংসতা।
” (সূত্র:দ্য আগলি ট্রুথ:মাইকেল প্যারোন্টি,আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক)
“প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজন মার্কিন নারী স্বামী কর্তৃক প্রহৃত হয়। ”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩)বর্তমানে এটি আরও ভয়াবহ।
যৌন নির্যাতন ঃ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্রাইম ভিকটিমাইজেশন সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বলপূর্বক যৌন নিপিড়নের ঘটনা ঘটে ১লক্ষ ৩৩বার। আর ধর্ষনের ঘটনা ঘটে প্রায় ২ লক্ষ বার। কানাডার নিরাপদ শহর হিসেবে খ্যাত টরেন্টোতে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে-সেখানে শতকরা ৯৮% নারী কোনো না কোনো ভাবে যৌন নিপিড়নের শিকার।
(সূত্রঃ দৈনিক জনকন্ঠ,৩১/০৭/১৯৯৩)আর ২০১৩ সালে এসে এ জাতীয় ঘটনাগুলো উক্ত স্থান সমূহে তেমন উল্লেখযোগ্য খবর নয় বরং তা দৈনন্দিন কাজেরই অংশ।
“আমেরিকাতে প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে এক জন নারী ধর্ষিত হয়। ” (সূত্র:দ্য আগলি ট্রুথ:মাইকেল প্যারোন্টি,আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক)
“বৃটেনে প্রতি ২০জনে এক জন ধর্ষিত হয়। ”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩)
“ভারতে প্রতি ৩০ মিনিটে ১ জন নারী ধর্ষিত হয় এবং লক্ষ লক্ষ নারী যৌতুকের বলী হয়। ”(ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটি,১৯৯৩)
কর্মস্থলে যৌন নিপিড়ন ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা ৫০% নারী কর্ম ক্ষেত্রে যৌন নিপিড়নের শিকার হতে হয়।
বাকী ৫০% এর মধ্যে অনেকের এ জাতীয় অভিজ্ঞতা আছে তবে চাকুরী হারানোর ভয়ে তারা চুপ থাকে। (সূত্রঃ ওমেন্স ভায়োলেন্স এন্ড মেইল পাওয়ার)
শিক্ষাঙ্গনে ঃ পাশ্চাত্যের স্কুল-কলেজে শতকরা ২৩% থেকে ৪৪.৮% ছাত্রী তাদের ছেলে বন্ধুদের দ্বারা যৌন নিপিড়নের শিকার হয়। (সূত্রঃ অ্যাসেসমেন্ট অব ফ্যামিলি ভায়োলেন্স,দ্বিতীয় সংষ্করণ,পৃ-২১২)
‘বৃটেনের ৫৪% নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানীর শিকার হয়। ’(সূত্রঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটি,১৯৯৩)
‘২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায় এর আগে আফগানিস্থানে হামলা করে। এই দুটি স্থানে যুদ্ধরত মার্কিন সৈন্যদের মধ্যে ১১%ই নারী যোদ্ধা।
নারী সৈনিকরা বলেছে-গেরিলাদের চাইতে বড় শত্র“ হল তাদের নিজেদের সৈন্যরা। ছুটিতে দেশে ফেরা এসকল নারীদের ৯০% ‘পেন্টাগন’কে অভিযোগ জানিয়েছে যে, তারা তাদের সহযোদ্ধা কর্তৃক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং ৩৩% নারী যোদ্ধা বলেছে তারা সহযোদ্ধা কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছে। বেশীরভাগ নারীই ভয়াবহ মানুষিক সমস্যায় জর্জরিত। ধর্ষিতা সৈন্যদের অনেকেই ডায়াবেটিস,এ্যাজমা,দীর্ঘকালিন পেটব্যাথা,অরুচী ও বিভিন্ন রোগ ব্যাধীতে আক্রান্ত এবং প্রচুর গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছে,অনেকে মানুষিক ভারসাম্য হারিয়েছে। তারা ছুটি কাটিয়ে যখন আবার কাজে ফিরে আসে তখন আবার পূর্বের ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয় ফলে তারা দু-দিকে যুদ্ধ করছে।
তাদেরকে সম্মুখ যুদ্ধে বাধ্য করা হয়। ‘র্যাড কর্পোরেশন’ নামক একটি
কোম্পানী ১৯৯১সাল থেকে সৈন্যদের উপর জরিপ চালিয়ে থাকে। কিন্তু তারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে নারী সৈন্যদের মানুষিক চাপের ব্যাপারটিকে মোটেও আমলে আনেনি। ২০০১ সাল থেকে ইরাক ও আফগানিস্থান থেকে ১লাখ ৯১ হাজার নারী সৈন্য দেশে ফিরেছে,এদের একটা বড় অংশ “যুদ্ধ ফেরৎ সৈনিক বিষয়ক অধিদপ্তর”এর কাছে তাদের শারিরীক-মানুষিক বিপর্যয়ের কথা জানিয়ে সাহায্য চেয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধ ফেরৎ পুরুষ সৈন্যদের জন্য একটি হাসপাতাল আছে কিন্তু নারী সৈন্যদের জন্য নেই।
’ (সূত্রঃ ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন অবলম্বনে-‘দৈনিক ইত্তেফাক’ঃ ২৬/০৫/২০০৮)
শিশুদের ক্ষেত্রেঃ পাশ্চাত্যে যত যৌন নিপিড়নের ঘটনা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয় তার মধ্যে ৩ ভাগের ১ ভাগ ঘটে ১২ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে। (সূত্রঃক্রিমিনোলজি,পৃ-৩৯) কানাডার শতকরা ৫৪% নারী ১৬ বছর বয়সে পদার্পনের আগেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। (সূত্রঃজনকন্ঠ,৩১/০৭/১৯৯৩)
“প্রতি বছর ৪ কোটি মার্কিন নারী যাদের বয়স ৯-১২ বছর,তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ”(সূত্র:দ্য আগলি ট্রুথ:মাইকেল প্যারোন্টি,আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন লেখক)
“৮৫% স্কুল ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। ”(সূত্র:আমেরিকান এসাসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি ওম্যান,১৯৯৩)
“আমেরিকায় প্রতি ২৪ সেকেন্ডে একটি করে ভ্রুণ হত্যা তরা হয়।
” ১৯৭৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭ কোটি ২৮ লক্ষ ৯ শত ২৩ টি ভ্রুণ হত্যা করা হয়েছে। ” (সূত্র:দ্য অ্যালান গুটম্যাচার ইন্সটিটিউট ২০০৫ সালে-‘র্পাসপেকটিভ অন সেক্সুয়াল এন্ড রি-প্রোডাকটিভ হেলথ’ নামক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়)
নরওয়ে,যুক্তরাষ্ট্র,কানাডা,নিউজিল্যান্ড,বার্বাডোস,নেদারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে প্রতি ৩জন নারীর মধ্যে ১ জন শৈববে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
আরও রিপোর্টঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টিমেট পার্টনার এন্ড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স সার্ভে(NISVS),২০১০ এর হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি পাচজন নারীর একজন ধর্ষিতা। ২০১০ সালে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার নারীর ধর্ষণ রেকর্ড করা হয় (প্রতি ৩১ সেকেন্ডে একজন হারে) এবং ৫১ লক্ষ নারী যৌন হয়রানীর শিকার হয়(প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন হারে)।
যুক্তরাজ্যের আইন মন্ত্রণালয় ১লা জানুয়ারী,২০১৩ তারিখে যে রিপোর্ট পেশ করেছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০১২ সালে ইংল্যান্ডে ৮৫হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছে এবং ৪ লক্ষ নারী যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছে।
এবং শতকরা ৮০% নারীই যৌন হয়রানী অথবা ধর্ষনের ব্যাপারে অভিযোগ করেন না।
আপনারা ইন্টারনেট থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন এবং প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ্য সংখার চাইতে অনেক বেশী।
চলবে..... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।