থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
সংবিধানের কি কি পরিবর্তন হবে, তা বাবু সেনগুপ্ত ও দিদি সাজেদা কিছুই বলতে পারছেন না। তারা আছেন সমস্যায়। উচ্চ আদালত যা যা বলেছেন, আইনের চোখে দেখতে গেলে অনেক বিধি-বিধানই 'বাল'-এর বিরুদ্ধে যায়।
সংবাদে জানা যাচ্ছে, সংবিধানে ২ক অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও ৪ক অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতির প্রদর্শন করাটা বাধ্যতামূল্ক করা হবে।
কিন্তু জাতির পিতার ছবি টাঙ্গানো ফরজ, এইটা থেকে উনারা পিছিয়ে গেলেন কেন? এতো দিন তো জোর গলায় বলতেছিলেন!
সব সরকারের জন্য ঝামেলার ১৪৫ক ধারাটি বাতিল হতে পারে। ওই ধারা মতে আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদে উপস্থাপনে একটা বাধ্যবাধকতা আছে।
পাশাপাশি সংবিধানের চারটি অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত ও আটটি অনুচ্ছেদ সংযোজন ও প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে সংশোধনীর চিন্তা-ভাবনা চলছে। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতারোধে ১৪২ অনুচ্ছেদের (১ক), (১খ), (১গ), (১ঘ) বিলুপ্ত করা হতে পারে।
কিন্তু সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখার সুযোগ নেই।
সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার অনুচ্ছেদ ১২ সন্নিবেশ করা ছাড়া আদালতের রায় বাস্তবায়নে পথ খোলা নেই।
রায় অনুযায়ী অনুচ্ছেদ ৮(১), ৩৮ শতাংশ, ৯৫ (১), ৯৬, ৯৮, ১১৬ সংশোধন করা হতে পারে।
এখন দেখবার বিষয়, হাসিনা-দাদা-সাজেদা মিলে কি করেন?
কিন্তু আমার প্রশ্ন, হাসিনা তার বাপের আমলে সংবিধানে সই না করার স্পর্ধা দেখানো সেনবাবুকে কেন এই কমিটির চিফ একজিকিউটিভ বানালো? 'বাল'-এ কি এই লোকের চেয়ে আর উত্তম কেউ নাই নাকি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।