বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছে নগরবাসী। নগরী ছাড়াও চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে লোকজন।
ঝড় থেকে রক্ষা পেতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে চার লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
মহানগর ও এর আশপাশের এলাকায় ভোর থেকেই হালকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টি।
নগরীর সড়কগুলো যেন অনেকটাই মানুষশূন্য।
বন্ধ রয়েছে নগরীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অধিকাংশ দোকানপাটও খোলেনি। অফিস আদালত খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
প্রশাসনের চাপাচাপির কারণে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার সকাল হতেই লোকজন পুনরায় সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় তাদের বসতিতে চলে যায়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর করে তাদের আবারো আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
ঘূর্ণিঝড় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) এস এম আবদুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে চার লাখের মতো মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
কিছু মানুষ সকাল বেলা তাদের বাড়িঘরে ফিরে গেলে তাদের আবারো নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার কাজ চলছে।
দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপেই উপকূলীয় এলাকা থেকে এক লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-খাজা আলামীন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুরো এলাকাজুড়ে ঝড়ো বাতাস বইছে এবং থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, ওই এলাকা থেকে সোয়া লাখের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, রাতে তাদের পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজন সকালে উপকূলে ফিরে যায়। তবে তাদের আবারো ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম।
বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেডের সব গার্মেন্টস কারখানা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।