ভেবেছিলাম সন্ধার পরে বিড়াট বড় একটা Birthday পাটর্ি হবে । কিন্তু Birthday-র কোন আলামত দেখলাম না । বিড়াট বড় পাটর্ি মানে ৫০/৬০ মন ওজনের একটা কেক কাটা হবে; আজকের পত্রিকায় সেই পাটর্ির ছবি উঠবে । কিছুতোই হলো না । সম্ভবত পাত্র নির্ণয় করতে পারে নাই ।
আন্দাজে কার নামে Birthday করবে ? তার যদি আবার ৫/৬ জন্ম তারিখ না থাকে । আসলে জন্মের ঠিক নাই এমন মানুষ পাওয়াও দূঃষ্কর(জন্ম তারিখ নির্দিষ্ট নাই) । দেশের বেশীরভাগ মানুষ যেদিন শোকে কাতর হয়ে থাকে একই দেশে বাস করে সেইদিন অনেকে আরোপিত Birthday পালন করতে আগ্রহী হয় বিমর্ষতাদের কষ্ট বাড়িয়ে তোলার জন্য । Birthday পালন করতে এসে নিজেদের স্বত্ব নিরাবরন করতেও দ্বিধাবোধ করে না । যেন সেদিনের Birthday-র মজাই আলাদা ।
এমন সব Birthday কেক কাঁটার সময় সামনে যারা দাড়িয়ে থাকে তাঁদের মুখের দিকে তাকালে একটা স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায় সেটা হলো কাজটা উচিৎ হচ্ছে না । শুধু এমপি নমিনেশন পেতেই আজ কেক কাঁটতে এসেছি । দেশের মানুষকে ভালবাসলে সুখে দূঃখে তাদের পাসেই থাকা উচিৎ । দেশের মানুষের শোকে তাদের পাসে দাড়াতে হয় । তাদের দূঃখে দূঃখী হতে হয় ।
কোন একটি কাজের মাঝেও দেশপ্রেম প্রকাশিত হতে দেখা যায়না । শোক জানাতে কিসের ভয় ? আজ এতগুলি বৎসর পেরিয়ে গেল কোন দিন তাদের দিক থেকে একবারের জন্য দূঃখ্য প্রকাশ করতে দেখলাম না । দূঃখ্য প্রকাশ করলে কারো মযর্াদা কোন দিন কমে না । মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি এতটুকু সহানুভুতি জানালে কি হয় ? সহমর্মিতা জানিয়ে নিজেদের অপরাধবোধের বোঝাওতো কমে যায় । ভোটের হিসাব করতে গেলে দেখা যাবে সহানুভুতির কারনে দেশের সিম্পেথি ভোটগুলি পক্ষে চলে আসতে পারে ।
রাজনীতির ফায়দা সমূহ রাজনৈতিকভাবেই অর্জন করতে হয়, যেখানে প্রতিহীংসা সেই অর্জনগুলি প্রতিনিয়তই খাট করে যায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।