:স্বজন হারানোর বেদনা আর পুলিশী হয়রানিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের দু’টি পরিবার। নিখোঁজ কলেজ ছাত্র আল আমিনের সন্ধানে সহায়তা নয়, বরং পুলিশের ভয়ে ঘুম হারাম হয়ে গেছে পরিবার দুটির লোকজনদের।
জানা যায়, ভূঞাপুর পৌর শহরের ব্যাবসায়ী নিজাম উদ্দিনের একমাত্র ছেলে স্থানীয় ইবরাহীম খাঁ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল আমিন গত ২৭ জুলাই শবেবরাতের নামাজ পড়তে মসজিদের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত সে ফিরে না আসার তার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেন। কোন সন্ধান না প্ওায়ায় পরদিন সকালে নিজামউদ্দিন ভূঞাপুর থানায় জিডি ( নং ১০৪৮, তারিখ ২৮ জুলাই,২০১০) করেন।
সন্তানের খোঁজ পেতে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারাী সংস্থারও শরানাপন্ন হয় আল আমিনের পরিবার। পরিবারটির অভিযোগ, শুরুতে সহায়তার আশ্বাস দিলেও ঘটনার দু’দিন পর পুলিশ জানায়, গত ২৯ জুলাই রাতে আলআমিন ও তার মা মমতাজ বেগমসহ চার জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা হয়েছে। ভূঞাপুরের নিকলা গ্রামের ঠিকাদার মর্তুজ আলীর মেয়ে বিথিীকা ইসলাম তন্নীকে অপহরণের অভিযোগ এনে দায়ের করা ঐ মামলায় পিতা নিজাম উদ্দিন ও আল আমিনের মামা স্কুল শিক্ষক নুরুর রহমান তালুকদার সেলিমকেও আসামী করা হয়েছে। এর পর থেকেই নিখোঁজ ঐ তরুনের সন্ধান দেয়ার পরিবর্তে তার পিতার ও মামার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোসহ নানা রকম ভয়ভিতি দেখানে হচ্ছে। পুলিশ ও ঠিকাদার মর্তুজ আলী একজোট হয়ে নিজাম উদ্দিনও সেলিমের বাড়িতে বারবার হানা দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছে বল্ওে অভিযোগ রয়েছে।
পুত্রশোকে কাতর মমতাজ বেগম এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও মানবাধিকার সংগঠণগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদারীপুর থেকে সহকারী তহশীলদার তাহমিনা খানমকে বিয়ে করা মর্তুজ আলীর মেয়ে তন্নী বেশ কিছু দিন ধরেই ব্যাবসায়ী নিজামের একমাত্র ছেলে আল আমিনকে প্রেমে ফেলে বিয়ে করার চেষ্টা করছিল। এর অংশ হিসেবে গত মাসে দু’দফায় তন্নী আল আমিনদের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। প্রথম দফায় এলাকার গণ্যমান্য লোক ও দ্বিতীয় দফায় পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তন্নীকে তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয় আল আমিনের পরিবারের সদস্যরা। এতে মর্তুজ আলী ক্ষিপ্ত হযে আল আমিনের পরিবারকে ভবিষ্যতে দেখে নেয়ার প্রকাশ্য হুমকি দেন।
এ বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে মর্তুজ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের গালমন্দ করলেও কোন সদুত্তোর দেননি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে উল্লেখিত ঘটনাগুলোর সত্যতা স্বীকার করেন টাংগাইল সদরের ওসি মো: জসিম উদ্দিন সরকার ও ভূঞাপুরের ওসি মো: ইসমাইল হোসেন। তবে আল আমিনের বাবা, মা ও তার মামার পরিবারকে হয়রান করার অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।