http://www.facebook.com/Kobitar.Khata
বর্তমান সময়ে পদার্থ বিজ্ঞানের শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং মনে করেন “দুনিয়া বিজ্ঞানের নিয়ম মেনেই চলে. এমন হতে পারে নিয়মগুলো ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর জন্য কখনো হস্তক্ষেপ করেন না”।
প্রথম আলোতে ৭/৮ বছর আগে স্টিফেন হকিং এর একটা লেখা ছাপা হয়েছিল। হেডলাইনটি ছিল এমন'' ঈশ্বরের মন বোঝার চেষ্টায় হকিং''। লেখাটি সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু এখন আর আমার কাছে নাই।
সেই লেখার মূল ভাবটি ছিল এমন, কোন কিছুর সৃষ্টি নিয়ে গবেষনা করতে গেলে দেখা যায় সেই সৃষ্টির মূল উৎস খুঁজে পাওয়া এখন পর্যন্ত মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞান অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে কিন্তু মহাবিশ্বের অপার রহস্যের ক্ষুদ্রতম অংশও এখনও উম্মেচন করা সম্ভব হয়নি।
স্টিফেন হকিং লেখার এক পর্যায়ে বলেছিল গবেষণার এক পর্যায়ে গিয়ে যখন তিনি আর কোন কিছুই আবিষ্কার করতে অক্ষম হয় তখন তিনি মনে করেন ''অবশ্যই ঈশ্বর আছেন। ''
ব্যাপারটা অনেকটা এমনঃ
কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তার জন্ম কি করে হয়েছে সে হয় তো বলবে তার বাবার বীর্য থেকে শুক্রানো মায়ের ডিম্বানো গ্রহন করার পর তার সৃষ্টি হয়েছে।
-কিন্তু সেই বীর্য ও ডিম্বাণু কে সৃষ্টি করেছেন?
-বলবে তাদের শরীর থেকে সৃষ্টি হয়ে গেছে।
-তাদের শরীর কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে?
-তাদের বাবা মায়ের শরীর থেকে
ওকে, ধরে নিলাম সে তার জন্ম সূত্রে পেয়েছে?
-তাদের জন্ম কোথা থেকে হয়েছে?
-তাদের বাবা মা থেকে
-তাদের বাবা মা কোথা থেকে এসেছে?
-তাদের বাবা মা থেকে....
-তাদের বাবা মা কোথা থেকে এসেছে?
-তাদের বাবা মা কোথা থেকে এসেছে?
........................
......................
..................
.........................
এভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে তারা হয় তো জবাব দেবে তাদের জন্ম হয়েছিল কোন বান্দর থেকে?
সেই বন্দর কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছিল?
আরেক জোড়া বান্দর থেকে।
তাদের জন্ম কোথা থেকে হয়েছে?
আরেক জোড়া বান্দর থেকে
...............................
..............................
এভাবে প্রশ্ন করতে থাকলে এক পর্যায়ে এসে বিজ্ঞান, চুপ
বিজ্ঞানীও চুপ। নাস্তিকেরার আরো বেশী চুপ।
ঠিক এখানে এসেই হকিংয়ের মনে হয় হ্যাঁ ঈশ্বর বলে কেউ আছে।
পদার্থবিজ্ঞানীরা যদিও গত প্রায় ৪০০ বছর যাবৎ প্রকৃতিকে বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা সত্ত্বেও প্রকৃতিতে এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে যেগুলোর যথাযথ ব্যাখ্যা আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফলে পদার্থবিজ্ঞান এখনও একটি সক্রিয় শাস্ত্র; বিশ্ব জুড়ে হাজার হাজার গবেষক পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় রত। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণার পরিমাণ ও পরিসর দুই-ই অনেক বেশি। পদার্থবিজ্ঞানের আধুনিক তত্ত্বগুলি কেবল প্রকৃতির আরও গভীরতর বর্ণনাই দেয়নি, এর অনন্য ও রহস্যময় রূপ আমাদের কাছে আরও পরিষ্কার করে তুলেছে। সূত্রঃ
কষ্ট লাগে যখন ব্লগে দু'কলম পড়ালেখা করা পোলাপান নিজেদের বিজ্ঞানমনষ্ক বলে মনে করেন এবং কোন কিছুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়া বিশ্বাস করেন না বলে দাবি করেন। তারা জানেন না যে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের বাহিরে অনেক কিছুই রয়ে গেছে।
তারা কথায় কথায় প্রশ্ন করবে আল্লাহকে কে তৈরি করেছে? কিন্তু আল্লাহ নামে যে কিছু নাই তেমন কোন প্রমান কোন বিজ্ঞান এখনো দিতে পারেনি। তারা কি সেটা জানে?
কিন্তু আমাদের নাদান নাস্তিক গুলো সেগুলো কোনদিন বুঝতে চায় না, বুঝতে চাইবে বলেও মনে হয় না। তারা না শুনতে চায় ধর্মের কথা না শুনতে চায় বিজ্ঞানের কথা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।