এই সরকারের অনেক মন্ত্রী এমপিকেই অনেকে ভাঁড় বলেন। কেউ কেউ আবার এক ডিগ্রী উপরে গিয়ে পাগল ছাগলও বলেন। সাবেক এক মন্ত্রীর কাছ থেকে এমন দাবিও এসেছে যে এই সরকারে অন্তত ৫ জন পাগল আছে।
কোনটা কতটা সত্য তা ইতিহাসই বলে দিবে। তবে অভিনয় বলেন, বা ভাঁড়ামী বলেন সেগুলো করতে এই সরকারে জুড়ি নেই বলেই সাধারন মানুষ মনে করে।
এদেশের মন্ত্রীরা এমন সব কারন দেখায়, আর এমন ভাবে তা উপস্থাপন করে যে অন্তত আমি নিজের কানে শোনার আগে পর্যন্ত তা বিশ্বাস করতাম না।
যেমন ধরুন একজন আমার দেশে তালা দিয়ে সবার সামনে এসে বললেন, আমার দেশ প্রকাশে কোনো বাধা নেই। আমি খুব বেশি উদাহরন দিব না। আপনারা যে কোনো একদিনের পত্রিকা পড়লেই অনেক উদাহরন পাবেন। শুধু বলি আমি যখন ক্লাস টু এ পড়তাম , তখনও এইসব যু্ক্তি যে সঠিক না তা বুঝতাম।
কি জানি, এই সরকার মনে হয় ধারনা করে আছে যে এদেশে সবাই হয় আন্ডার টু পাশ ! আর না হয় আমাদের চামচা।
মনোবিজ্ঞানে যখন প্রথম পড়তে গেছি, তখন এক ম্যাডাম বলেছিলেন, পৃথিবীতে খুব কম ঘটনা ঘটে যা একেবারে নতুন। বলতে গেলে নতুন কিছু ঘটে না। সব ধরনের অপরাধই পূর্বে দু'একবার হলেও কেউ না কেউ করেছে বলে প্রমান পাওয়া যাবে।
এই রকমই একটি ঘটনা হলো জেলগেটে আটক।
ইদানিং এই সরকারের কাউকে কিছু বললেই কিছু মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলবৃন্দ আছেন, যারা আগের সরকারে এই ধরনের কি ঘটেছিলো তার উদাহরন দিয়ে তাড়াতাড়ি একাত্তর টিভিতে হাজির হয়ে যান। বিএনপি অফিসে পুলিশি আক্রমন, রাজপথে মিছিল করতে না দেয়া, লাখ লাখ মানুষকে মামলায় দেয়া এসব ঘটনার বৈধতা দিতে তাড়াতাড়ি বিএনপি সরকারের আমলে কোন কোন মামলা দেয়া হয়েছিলো তা তুলে ধরেন।
খালি হেফাজতের সাথে যে ঘটনাটা ঘটেছে তার কোনো তুলনা অবশ্য তারা এখোনো দাঁড় করাতে পারেনি। কয়েকদিন পরে কর্নেল বেগের চিঠির মত নতুন কিছু আবিস্কার করে ফেলার অপেক্ষায় হয়তো এরা চুপচাপ আছে।
তুলনা করবেন কোনো সমস্যা নাই।
তবে এই সরকার যে ভাবেই হোক, জেলগেটে আটক বিষয়টিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যতই আইনের প্রতি কেউ শ্রদ্ধাশীল হোক, যতই জামিন টামিন নিক, কোনো অসুবিধা নাই। মহা অস্র আছে সরকারের হাতে , জেলগেটে আটক।
সাধারনত রাজনৈতিক মামলার আসামি জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর কারা ফটকেই আবার আটক করার মহান শিল্প আমাদের এমনভাবে জানা হয়ে গেছে যে এ বিষযে কোনো নোবেল না থাকায় আফসোস হয়।
আদালতের আদেশে জামিনে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর পোশাকধারী পুলিশ নয়, সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে যায় মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে।
এতে অনেকেই জামিনে বের হয়ে আসতেও ভয় পান।
নিচে কিছু ভাঁড়ামী ও নাটকের মঞ্চস্থ হওয়ার উদাহরন দেখাচ্ছি........
যুবদল নেতা জাহাঙ্গীরকে তিন বার জেলগেটে আটক করা হয়.......http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=576df1d0de306eeedf4b79d69654cf51&nttl=24072012128295
তারা হলেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব ও ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে একত্রে জেলগেটে আটক করা হয়। Click This Link
যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে জেল গেট থেকে আটক করা http://www.dailynayadiganta.com/?p=180780
জেলগেটে বিএনপির ২ নেতা আটক করে পুলিশের অস্বীকার Click This Link
এরকম শত শত উদাহরন আছে। তাহলে জামিন নিয়ে কি লাভ?
আফসোস, আমি ভাল অভিনয় করতে পারি না। পারলে সরকারী দলে ভিড়তাম.........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।