আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধান সংশোধন নিয়ে তাড়াহুড়া করা ঠিক হবে না



সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সংবিধান সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এ ব্যাপারে প্রথম আলো মুখোমুখি হয়েছে বিশেষজ্ঞদের। দ্বিতীয় পর্বে আজ ছাপা হলো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের অভিমত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান ও মিজানুর রহমান খান প্রথম আলো : সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে সরকার সংবিধান সংশোধনে উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? খন্দকার মাহবুব হোসেন: আদালতের রায় অবশ্যই আমাদের মানতে হবে। একই সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে, রায়ের মধ্যে বেশ কিছু স্ববিরোধিতা আছে। আমার ধারণা, এর ফলে সরকারও বেকায়দায় পড়েছে। হাইকোর্টের মামলাটি ছিল মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে। মাননীয় বিচারক এর সঙ্গে পঞ্চম সংশোধনীর বিষয়টি টেনে নিয়ে এসেছেন।

তাঁরা বলেছেন, সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করা যায় না। আবার আদালত পঞ্চম সংশোধনীর পুরোটা বাতিল করে দেননি। কিছুটা রেখেছেন। চতুর্থ সংশোধনী বলে দেশে যে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছিল, মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল; পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমানই পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এসব বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আদালত সেসব রেখে দিয়েছেন।

তাহলে সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন বহালই থাকল। অন্য দিকে পঞ্চম সংশোধনীতে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ যুক্ত করা হয়েছিল, আদালত সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। এর ফলে কী হলো? সংবিধান শুরু হলো বিসমিল্লাহ দিয়ে। আবার ধর্মনিরপেক্ষতা যুক্ত করা হলো। সে ক্ষেত্রে একটি স্ববিরোধিতা থেকেই যাচ্ছে।

এখন সরকারের গঠিত কমিটি কীভাবে এগোবে সেটাই দেখার বিষয়। সরকারি দল বলছে, বাহাত্তরের সংবিধান ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। সংবিধানে প্রথম হাত তো দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানই। বাহাত্তরের সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির বিধান ছিলনা, পরে সংযোজন করা হয়েছে। তবে এ জন্য বঙ্গবন্ধু একা দায়ী নন, সে সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারে যাঁরা ছিলেন, সবাই মিলেই করেছেন।

প্রথম আলো: সে জন্য আওয়ামী লীগের সমালোচনা হয়। কিন্তু জরুরি অবস্থা ও নিবর্তনমূলক আটকাদেশের বিধান সংবিধান থেকে তুলে নেওয়া এখন সমর্থন করেন কি? খন্দকার মাহবুব: নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের ধারণাও কিন্তু অনেকটা বদলে গেছে। তাই বলব, আমরা বাহাত্তরের সংবিধানে কেন যাব? কেন সামনের কথা ভাবব না? সংবিধানে জরুরি অবস্থা রাখা না-রাখা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তবে একজন আইনজীবী হিসেবে আমি মনে করি, নিবর্তনমূলক আইন থাকা উচিত নয়। প্রথম আলো: মূলত পঞ্চম সংশোধনীকে ঘিরেই সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নটি সামনে এসেছে।

এর বাইরেও কি অনেক কিছুর পরিবর্তন জরুরি নয় সংবিধানে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায়? খন্দকার মাহবুব: পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতিশাসিত পদ্ধতি থেকে আমরা এখন সংসদীয় পদ্ধতিতে এসেছি। ৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই তাঁদের। আমি মনে করি, জনপ্রতিনিধিদের যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে তাঁরা তা রাখতে পারছেন না।

বরং তাঁদের দলীয় দাসত্ব মেনে নিতে হচ্ছে। এতে সাংসদের স্বাধীন সত্তা বলে কিছু থাকে না। প্রথম আলো: আপনি সামনে তাকানোর কথা বলেছেন। সরকারও সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিরোধী দলের কি উচিত নয় সেই প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখা? খন্দকার মাহবুব: দেশ ও জনগণের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন সব সময়ই হতে পারে।

এর পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। দেশে এই মুহূর্তে এত সমস্যা থাকতে সরকারের কাছে সংবিধান সংশোধনীটি জরুরি হয়ে পড়ল কেন? দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটে জনগণ অতিষ্ঠ। সরকারের উচিত ছিল এসব সমস্যা সমাধান করে সংবিধান সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া। আমি বলব, সরকার সুপ্রিম কোর্টের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সংবিধান সংশোধন করতে যাচ্ছে। তারা বলছে, সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছেন, সেহেতু সংবিধান সংশোধন অপরিহার্য।

তাদের এই যুক্তি ঠিক নয়। কীভাবে সংবিধান সংশোধন করতে হবে তা সংবিধানেই বলা আছে। আদালতের রায়ের কারণে এটি সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। সুপ্রিম কোর্ট আইনের ব্যাখ্যা দেবেন, কোনো আইন সংবিধানের পরিপন্থী হলে তা বাতিলও করে দিতে পারেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান তৈরি করে দেবেন না।

আদালতের রায়ের ফলে সংবিধান সংশোধন হয়ে গেছে- কথাটা ঠিক নয়। প্রথম আলো: অষ্টম সংশোধনীর মামলায় হাইকোর্টের বেঞ্চ-সংক্রান্ত সংশোধনী বাতিল হয়। এরপর কিন্তু সংসদে বিল আনা হয়নি। আদালতের রায়ের ভিত্তিতে আগের ১০০ অনুচ্ছেদের পুনর্বহাল হয়। এর মধ্যে পার্থক্য কি? খন্দকার মাহবুব: সেটি হলো সংবিধানের মৌলকাঠামো।

এর ওপর আঘাত এলে সুপ্রিম কোর্ট সেটি বাতিল করে দিতে পারেন। প্রথম আলো: এবারও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিন্তু সেই মৌলিক কাঠামোর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, চার মূলনীতি বদলানো যাবে না। সরকারি দলের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হচ্ছে, পরবর্তীকালে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেও কেউ তা বদলাতে পারবে না। খন্দকার মাহবুব: কোনটি সংবিধানের মৌলকাঠামো, সেটি ঠিক করবে কে? যদি আইনসভা করে, তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি আদালত করেন, তাহলে তো আইনসভার প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।

প্রথম আলো: সংবিধান সংশোধনীর বিষয়টি যেহেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেহেতু বিএনপির কি সেই প্রক্রিয়ায় শরিক হওয়া উচিত নয়? খন্দকার মাহবুব: আমি যতটা জানি, বিএনপি শিগগিরই এ ব্যাপারে দলীয় প্রতিক্রিয়া জানাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিএনপিকে তার আরাধ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারকে একতরফাভাবে সংশোধন করতে দেওয়া ঠিক হবে না। বিএনপি বা অন্য কোনো দল অভিমান করে দূরে থাকবে, সেটি কাম্য নয়। প্রথম আলো: আরেকটি বিষয়ের ওপর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করব।

আমাদের সংবিধানে নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে, যা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে নেই। মন্ত্রিসভার কাছে ন্যস্ত করার কথা আছে। খন্দকার মাহবুব: মূল সমস্যা ৭০ অনুচ্ছেদই। ৭০ অনুচ্ছেদ বহাল থাকলে মন্ত্রিসভার হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত করলেও প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সর্বময় ক্ষমতা চলে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাবেন না।

এ ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। প্রথম আলো: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন? খন্দকার মাহবুব: আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায়ও সংসদে অনুমোদিত কোনো বিল রাষ্ট্রপতির কাছে গেলে তিনি ফেরত দিতে পারেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার যদি সংসদ সেই বিল তাঁর কাছে পাঠায়, তাহলে আর ফেরত দিতে পারেন না। এখন প্রধানমন্ত্রী যে ক্ষমতা ব্যবহার করেন, তার ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। সাহাবুদ্দীন আহমদ একবার বলেছিলেন, কবর জিয়ারত ছাড়া তাঁর কোনো কাজ নেই।

প্রথম আলো: উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কমিশন হওয়া উচিত কি? খন্দকার মাহবুব: এ ক্ষেত্রে কিছু বিধিমালা থাকা প্রয়োজন। এর অনুপস্থিতিতে এটি একটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে সংবিধানে দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হয়েছিল, সেটিকেও পরিমার্জন করে কিছু করা যেতে পারে(সংসদ অনুমোদন না দেওয়ায় বাতিল হয়ে গেছে)। সংসদীয় কমিটিতে সরকারি দলের সাংসদরাও বিধিমালা থাকার কথা বলছেন।

আমিও বলেছি, আপনারা দলীয়ভাবে নিয়োগ দিন। কিন্তু যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে দিন। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রথম আলো ভালো ভূমিকা রাখছে। আমরা এ জন্য প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রথম আলো: সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে পঞ্চম সংশোধনীর দোহাই দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু সপ্তম সংশোধনী সম্পর্কে কিছু বলা হচ্ছে না। পঞ্চম সংশোধনী সংবিধানের মৌলকাঠামোয় আঘাত হানলে সপ্তম সংশোধনীও একই কাজ করেছে। খন্দকার মাহবুব: এ-সংক্রান্ত একটি রিট আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। আমার ধারণা, সেটিও বাতিল হয়ে যাবে। পঞ্চম সংশোধনীর কিছু রাখা হয়েছে, কিছু বাদ দেওয়া হয়েছে।

এ কারণেই বলেছি, আদালতের রায়ে সরকারি দলই বিপদে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ থাকবে, শুধু সাংসদ নন, আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক কমিটি গঠন করুন। তা না হলে আবারও আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে। পঞ্চম সংশোধনীতে গণভোটের বিধান ছিল, সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য এ ধরনের বিধান থাকা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এমন বিধান বানাবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সামরিক আইন জারি করতে না পারে। খন্দকার মাহাবুব: সংবিধানে আইন করে মার্শাল ল বন্ধ করা যায় না। এ ধরনের বক্তব্যে কিন্তু আরেকটি মারাত্মক আশঙ্কা থেকে যায়। এ পর্যন্ত আমাদের দেশে যাঁরা সামরিক আইন জারি করেছেন, তাঁরা সংবিধান স্থগিত রাখলেও বাতিল করেননি। পরবর্তীকালে তাঁদের অধ্যাদেশগুলো সংবিধানভুক্ত করে নিয়েছেন।

কিন্তু সংবিধানে এ ধরনের কোনো ধারা থাকলে তো তাঁরা প্রথমেই সংবিধান বাতিল করে দেবেন। এ ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় থাকবে না। প্রথম আলো: জাতীয় সংসদের আসনসংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে দুই প্রধান দল থেকেই। বিএনপি বলেছে, ৫০০ আসন করা হবে। আওয়ামী লীগ বলেছে, সরাসরি ভোটে নারীর জন্য ১০০ আসন বাড়ানো হবে।

আপনার অভিমত কী। দ্বিকক্ষ সংসদের কথাও বলছেন কেউ কেউ? খন্দকার মাহবুব: যখন জাতীয় সংসদের ৩০০ আসন করা হয়, তখন লোকসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। এখন ১৬ কোটি । যেহেতু জনসংখ্যা বেড়েছে, সেহেতু সংসদের আসনও বাড়ানো উচিত। দ্বিকক্ষীয় ব্যবস্থা আছে ফেডারেল পদ্ধতির দেশগুলোতেই।

দ্বিকক্ষীয় ব্যবস্থা চালু হলে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশা থেকে মেধাবী মানুষ তথা বুদ্ধিজীবীরা আবার সুযোগ পাবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাঁরা সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসেন, সব সময় কিন্তু আমরা যোগ্য প্রতিনিধি পাই না। এ ছাড়া দুটি কক্ষ থাকলে ভারসাম্যও থাকে। প্রথম আলো: সংবিধান পর্যালোচনা কমিটি বা কমিশন গঠন করা যায় কি না? যেমন ভারতে হয়েছে। খন্দকার মাহবুব: অবশ্যই যায়।

এখনই এত তাড়াহুড়া না করে সময় নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংবিধান সংশোধন করলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। দলীয়ভাবে করলে অন্য দল ক্ষমতায় এলে তারা বদলে দিতে পারে। বিরোধী দল ও আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ধীরে-সুস্থে সংবিধান সংশোধন করা উচিত বলে মনে করি। সংবিধান সংশোধনের ওপর গণভোট নেওয়া হলে জনগণের আস্থাও বাড়বে। প্রথম আলো: তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আবার বিতর্ক হচ্ছে।

যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে বিচার বিভাগের ওপরও। সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধানটি বদলানো যায় কি না? খন্দকার মাহবুব: বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করলে বড় ধরনের বিপর্যয় আসতে পারে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টকে কোনো অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিতর্কে আনা যাবে না। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি চলে আসছে। সবাই হিসাব করছেন, কাকে আনা যায় বা বাদ দেওয়া যায়।

সে কারণে আমি মনে করি, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মধ্যে তাঁদের রাখা ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে পারে। এ প্রসঙ্গে আরেকটি কথা বলতে চাই, বাহাত্তরের সংবিধানে স্পষ্ট বলা ছিল, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনো বিচারপতি রাষ্ট্রের লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে হাইকোর্টের রায়ও আছে, সেটি কার্যকর করা প্রয়োজন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.