আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পবিত্র রমযানে ধুয়ে মুছে যাক সব অপকর্ম

হট নিউজ

পবিত্র কুরআন মাজীদ নাযিলের মাস মাহে রমযান। এ মাস আত্মশুদ্ধির মাস। সব রকম অপকর্ম থেকে বিরত থাকার মাস। ন্যায় ও ইনসাফ কায়েমের মাস। সর্বোপরি আল্লাহ হুকুম পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে চলার মাস।

তাই ধর্মনিরপেক্ষবাদের ভন্ডামী ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ইসলামকে বাস্তবায়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। যে পথ নবী রাসুলগণ দেখিয়েছেন। সেই পথে আসবে বাধা বিপত্তি জেল জুলুম। যেভাবে আবুজেহেল ইসলামকে সমূলে ধ্বংস করার জন্য মদিনা আক্রমন করেছিল ১০০০ হাজার কাফের সেনা নিয়ে। নবী (সাঃ) মাত্র তিনশ তেরজন সাহাবা নিয়ে ১৭ রমযান বদরের প্রান্তরে তাদের মোকাবিলা করেছিলেন।

ফলে ইসলাম আজো মাথা উচু করে আছে। তাই এই তাগুতি সরকারের বুঝা উচি্ৎ যতই অত্যাচার নিপীড়ন করা হোক ইসলামী আন্দোলনের নেত কর্মীদের দমানো যাবে না। ইসলামকে আল্লাহই রক্ষা করবেন। যেভাবে বদরের যুদ্ধে ফেরেস্তা পাঠিয়ে কাফিরদের পরাজয় করেছিলেন। এজিদবাহিনী কর্তৃক হযরত হাসান হুসাইন (রাঃ) শাহাদত বরণ করার ইসলাম মরে যায়নি।

বরং শায়ের বলেছেন ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যা তো হর কারবালাকা বাদ। ইসলামী নেতাকর্মীদের উপর যত জেল জুলুম ফাসি আসবে ইসলামী রাস্ট্র বাস্তবায়নের পথ তত সুগমন হবে। আর রমযান মাস থেকে সংযমের শিক্ষা গ্রহণ করে জেল জুলুম সহ্য করতে হবে। এই মাসটিকে রোযা পালনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। খোদ পবিত্র কুরআন বিষয়টিকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে।

এটি হল রমযানের একটি পবিত্র রাত। দৃঢ় সম্ভাবনা যে, এ মাসের শেষ ১০ দিনের কোন এক রাত এবং সাহরীর উদয় হওয়ার সময় যখন জিবরাঈল (আঃ) সর্বপ্রথম হেরা গুহায় আল্লাহর হেদায়াতের আলো নিয়ে প্রবেশ করলেন এবং কুরআনের জ্যোতিতে নবী মুহাম্মাদের অন্তরকে করলেন আলোকিত। আর এ দ্বারাই উম্মতে মোহাম্মাদীয়ার বীজ বপন করা হল। ভিত্তি স্থাপিত হল মুসলিম উম্মাহর। মানবজীবনে সাহ্রীর উদয়ের ব্যবস্থা হল।

বিশ্বের নবদিগন্তে প্রভাত জ্যোতির প্রথম আলোর আভা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। রমযান শরীফে কুরআন নাযিলের এই দিনটি মুসলিম মিল্লাতের সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং মোবারক দিন। এই পবিত্র দিনেই উম্মতে মোহাম্মাদীর অস্তিত্ব লাভ হল। উম্মতের দেহে নতুন প্রাণের সঞ্চালন ঘটলো। একেই নির্ধারণ করা হল জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য।

তার উত্থান-পতনের সকল রহস্য এর মধ্যেই প্রেরণ করা হল। কিন্তু অনেক কম সংখ্যক লোকের এই উপলব্ধি আছে যে, রোযার এই মাসেই এ উম্মতের জীবনের দু'টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। সে দু'টি ঘটনা মাইলস্টোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ঐ দু'টি ঘটনা এমন দু'টি অধ্যায়, যা হেরা গুহায় প্রাপ্ত পয়গামের রহস্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। তা সংগঠন ও রূপায়ণের কাজকে পরিপূর্ণ করেছে।

আল্লাহর কালামের প্রথম ছোট বীজটিকে পত্র-পল্লব, ফল-ফলাদি ইত্যাদিতে তিনি এমন মহীরুহে পরিণত করেছেন। যার শিকড় আজও অনড়। যার শাখা-প্রশাখা শতশত বছর ধরে মানবগোষ্ঠীর ওপর ছায়াপাত করেছিল এবং আজও করছে। এই দুই ঐতিহাসিক ঘটনাই মোহাম্মাদী উম্মতকে সম্প্রসারিত ও সুদৃঢ় করেছে। ভীতিকে নিরাপত্তা দ্বারা, দুর্বলতাকে শক্তি দ্বারা, পরাজয়কে বিজয়ে করেছে রূপান্তরিত।

অসহায়কে বিশ্বব্যাপী খিলাফত ও নেতৃত্বের আসনে করেছে সমাসীন। এর একটি ঘটনা বদরের যুদ্ধ। আর দ্বিতীয়টি হল মক্কা বিজয়ের। এ কারণে শাহ্ওয়ালী উল্লাহ্ দেহলভী (রহঃ) বলেছেন যে, ‘‘রমযান মাসকে রোযার জন্যে এ কারণেই সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে যে, এ মাসেই মুসলিম উম্মাহ্ শক্তি ও বিজয় লাভ করেছে’’।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.