আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐশীদের বাঁচাতে সব বাবা মায়েদের এগিয়ে আসার সময় হয়েছে



অনেকেই ঐশীর বাবা মা কে দোষ দিচ্ছেন। হ্যা অবশ্যই তাদের দোষ ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় শেষ ভাগে এসে পরিবারের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। যদিও তার সমাধান ঠিক ভাবে করতে পারেনি। তবুও শেষে তার পরিবার বুঝতে পেরেছে যে তাদের আদরের মেয়ে (আদরের মেয়ে বলেই তো হাত খরচ ৫০,০০০ টাকা দিত) আর সোজা রাস্তায় নেই।

কোন এক পন্থায় সেই রাস্তায় আটকে দিতে চেয়েছিল। নিশ্চয়ই এটা না করলে তাদের প্রান দিতে হত না। বরং মেয়ের কাছ থেকে সেরা বাবা মায়ের উপাধি পেত । এটা তাদের একটা পজেটিভ দিক ছিল। আমি এটা এ কারনে বলছি কারন, আমাদের সমাজে এখনো অনেক তরুণ তরুণী প্রাথমিক পর্যায়ে বিপথে আছে জেনেও তাদের পিতা-মাতা নিশ্চুপ রয়েছে।

অনেক পিতামাতা মনে করেন, ছেলে মেয়ে আধুনিক হচ্ছে আবার অনেকে ছেলে মেয়ের হাতে লান্সিত হওয়ার ভয়ে মেনে যাচ্ছেন। আবার কেউ মনে করে বয়স বাড়লে ঠিক হয়ে যাবে। সে পিতা-মাতার মৃত্যু খবর আপনারা হয়তো শুনবেন না কারন পিতা-মাতা তাদের সন্তানের মাদক খাওয়ার খরচ বহন করছেন। তাই সময় এসেছে সময় থাকতে ছেলে মেয়ে কে সুপথে ফিরানো। আমাদের দেশে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য যাবতীয় শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

কেননা মানবতা শুধু মাত্র ধর্মীয় শিক্ষায় আছে, এর বিকল্প আর কিছুই নাই। আজ আমাদের দুর্ভাগ্য যে মুসলমানরা পর্যন্ত মনে করছে মৃত্যুর পরকাল বলে কিছুই নাই(নাউযুবিল্লাহ)। তার বাবা মা ছোট বেলায় ধর্মীয় শিক্ষা দেয় নাই। আজ আমাদের সমাজ এত নিচে নেমে যাচ্ছে, কারন আমরা ভুলে যাই, আমাদের পার্থিব জীবন শুধুমাত্র একটা পরীক্ষা এবং আমাদের একদিন সৃর্ষ্টিকর্তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।