আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্লাসরুমে মাইরের কি কোন প্রয়োজন আছে?

একজন নগন্য মানব।

বাংলাদেশে বাংলা বা মাদ্রাসা মিডিয়ামে পড়ে এমন প্রায় সবারই মনে হয় স্কুলে অন্তত একবার হলেও শিক্ষকের হাতে মার খাবার অভিজ্ঞতা আছে, ইংলিশ মিডিয়ামের কথা বললাম না কারন সেখানের ক্লাসরুমের খবর আমার তেমন জানা নাই। শিক্ষকগন বিদ্যালয়ে নিজেদেরকে ছাত্রদের অভিভাবক মনে করেই হয়ত পিটান, আবার কেউ কেউ হাত নিশপিশ করে বলে পিটান। তবে বেশ অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আচরন হয়ে ওঠে অযৌক্তিক ও হিংশাত্মক। সবচেয়ে কমন যে কারন তা হলো, ক্লাসে পড়া না পারলে বা বুঝতে পারলে।

অনেক শিক্ষক যখন পড়া জিজ্ঞেস করেন, সামান্য ভুলের কারনে দেখা যায় ইচ্ছেমত বেত্রাঘাত করেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, বেত মেরে কি ছাত্রদের মাথায় পড়া ঠেলে ঢুকাতে সুবিধা হয়? সব ছাত্রের ক্যালিবার এক হয় না, কেউ হয়ত তারাতারি বোঝে আবার কারও কারও পড়া বুঝতে একটু সময় লাগে। শিক্ষকগন অনেকেই থাকেন বি,এড, মানে পড়ানোর উপর ডিগ্রিধারী। তারাই যখন নিজেদের পড়ানোর বা বোঝানোর ব্যর্থতার দায় ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দেন, বেত মেরে মেরে তাদের স্কুলজীবনটাই কাবাব বানিয়ে দেন, তখন মনে হয়, এদেরকে ধরে জেলে ঢুকানই ঠিক কাজ। তবে ছাত্রদের চরিত্র গঠনে ধোলাই কাজে দিতে পারে।

মিথ্যে বলা, ক্লাসে গুন্ডামি/মারামারি, অপরের প্রতি অশ্রধ্যা/অসন্মান এসব কারনে শাষন করার অধিকার শিক্ষকের থাকতেই পারে। তবে অনেক শিক্ষকের নিজেদের চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন করা যেতে পারে। আমার জীবনে ক্লাসে যৌন শুরশুরি মার্কা কথাবাত্রা বলা শিক্ষক অনেক দেখা আছে। শেষে এটাই বলা যায়, শাষন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।