মিথ্যার পতন সন্নিকটে..........
আমার সংক্ষিপ্ত উত্তর না বুঝলে- এ যোগাযোগ করতে পারেন।
লেখককে বলছি!
১.আপনি বলেছেন- ধর্মগ্রন্থে ভুল আছে। আমার কথা- পারলে কুরআনের একটি ভুল প্রমাণ করুন।
২.আপনি বলেছেন- ধর্মগ্রন্থ মৌলিক নয়! আমি বলি মৌলিক বা যৌগিক বড় কথা নয়; সঠিক না ভুল সেটাই বড় কথা। ভুল বা অপূর্ণাঙ্গ গ্রন্থের সঠিক কথাকে কি অস্বীকার করবে কুরআন?
৩.আপনি বলেছেন- বিধান পরিবর্তন হয় কেন? উত্তর হলো: বিধান (শরীয়াত) অবস্থা (বা রোগ) ভেদে পরিবর্তিত হওয়াই যুক্তিসঙ্গত।
কিন্তু আনুগত্যের বিধান (দ্বীন) পরিবর্তিত হয় না। একই থাকে।
৪.আপনি বলেছেন- ধর্মগ্রন্থ পরিবর্তিত করা লাগে। আমার প্রশ্ন কুরআনের একটি বর্ণও কি পরিবর্তিত করা লেগেছে? লাগলে কোনটি?
৫.আপনি বলেছেন- পরের বাক্য আগেরটিকে রহিত করে। আমি বলি- ভালোকে অধিকতর ভালো দ্বারা পরিবর্তন করা কি খারাপ?
৬.আপনি বলেছেন- একই বিষয়ের সব বর্ণনা একই সাথে থাকা দরকার।
কিন্তু কুরআন প্রবন্ধধর্মী নয়- বাস্তবধর্মী ও চলমান। সর্বরোগের (সব অবস্থায়) এক ওষুধ (বা নির্দেশ) ঠিক নয়। তাই, কুরআনে প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য আলাদা চ্যাপ্টার নেই। এটাই যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবধর্মী।
৭.আপনি জানতে চেয়েছেন, স্রষ্টা ব্যক্তিবিশেষের প্রতি শত্রুতাসম্পন্ন কেন? উত্তর হলো- ব্যক্তি সর্বদা ব্যক্তি বুঝায় না; অনেকসময় তা প্রতীক বুঝায়।
যেমন 'তুই আমার সাথে মীরজাফরী করলি!' তাছাড়া শত্রুতা সর্বদা খারাপও নয়।
৮.আপনি বলেছেন- ধর্মগ্রন্থগুলো স্ববিরোধী। আমি বলি, সত্য আর মিথ্যাসমূহ স্ববিরোধী হওয়াই স্বাভাবিক।
৯.আপনি বলেছেন- ধর্মগ্রন্থে দুর্বো্ধ্য রূপক রয়েছে। আমি বলি, কিছু লোক সহজটাকেও জটিল করে ফেলে।
তাছাড়া কুরআনে চেষ্টা করলেও বুঝা যায় না এমন জটিল ও দুর্বোধ্য রূপক কোথায়?
১০.আপনি বলেছেন- নবীরা আমাদের মতই মানুষ। আমি বলি, সবার প্রাকৃতিক সক্ষমতা সমান নয়। কিছু অস্বাভাবিকতাই স্বাভাবিক।
১১.আপনি বলেছেন- ধর্মীয় বিষগুলোতে অনেক বিতর্ক। আমি বলি, বিতর্ক করার সুযোগ না থাকলেও সত্য ধর্ম নিয়ে কিছু মানুষ বিতর্ক করবেই।
ধর্ম ছাড়া অন্য বিষয়েও অনেক বিতর্ক। যাচাইয়ের মাধ্যমেই মিথ্যা ধর্মকে চিনে নিয়ে পরিত্যাগ আর সত্য ধর্মকে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
১২.আপনার কথা অনুযায়ী- নবীরা যথেষ্ট মেধাবী ও যোগ্য ছিলেন না। আমি বলি, নবীরা নিজ যুগের শ্রেষ্ঠ মেধাবী ও যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন।
১৩.আপনি বলেছেন- ধর্মত্যাগীদের হত্যা করা ঠিক নয়।
আমি বলি, অনেক বাহিনীই তাদের বিশ্বাসঘাতকদের হত্যা করে থাকে- যার বিচার সাধারণ আদালতে হয় না। ইসলামেও (ইসলাম কায়েম হওয়ার পর) ইসলামে বিশ্বাসী বলে দাবিকারী কেউ যদি স্বপক্ষ ত্যাগ করে (তথা শত্রুতা শুরু করে ইসলাম তথা শান্তি ধ্বংসের চেষ্টা করে) তাহলে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ঐ বিদ্রোহী হত্যা করা যাবে। তবে তা হতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে (যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে)। আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এবং পূর্ব থেকেই যারা অমুসলিম তাদেরকে হত্যা তো দূরের কথা আঘাতও করা যাবে না।
তবে যুদ্ধ শুরু করলে ভিন্ন কথা।
১৪.আপনি বলেছেন- আস্তিকরা নাস্তিকদের হত্যা করেছে। আমি বলি, কথা ঠিক। আস্তিকরা আস্তিক হিসেবে ঠিক হলেও তাদের সব বিশ্বাস ও কর্ম ঠিক নয়। কিন্তু নাস্তিকরা যে পাইকারীভাবে ধর্মে বিশ্বাসীদের হত্যা করেছে তারও যথেষ্ট দৃষ্টান্ত ইতিহাসে রয়েছে।
সবশেষে বলি, জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। দু;চারটে চটি বইয়ের দ্বারা অন্ধভাবে প্রভাবিত ও প্রতারিত না হয়ে আসুন সঠিক অভিমতটি সন্ধান করি।
আমি আল্লাহকে ১০০% বিশ্বাস করি। কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারবো না। আর আপনি হয়তো স্রষ্টাকে অবিশ্বাস বা সন্দেহ করেন।
কিন্তু আপনিও স্রষ্টা নেই এটা প্রমাণ করতে পারবেন না। আপনার ধারণা ঠিক হলে আমার কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু আমার ধারণা ঠিক হলে আপনার কি হবে ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।