আলোচনার প্রারম্ভে আসুন সরকারের ওই ৫১ জন দালালের নাম জেনে নেই যারা দেশের সম্মান বাঁচানোর নামে সরকারের পক্ষে বিবৃতেতে সাক্ষর করেছেন - অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, কাইয়ুম চৌধুরী, সৈয়দ শামসুল হক, হাশেম খান, শামসুজ্জামান খান, কামাল লোহানী, বিচারপতি (অব.) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, উপাচার্য নজরুল ইসলাম, উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, অধ্যাপক আবদুল খালেক, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বেলাল চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সেলিনা হোসেন, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, হারুন-উর-রশিদ, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, স্থপতি রবিউল হুসাইন, সুজেয় শ্যাম, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আবুল বারকাত, শাহরিয়ার কবির, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, ড. মুহাম্মদ সামাদ, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, জামাল আহমেদ, অধ্যাপক শফিক উজ জামান, ডা. মাহমুদুল হাসান, ডা. কামরুল হাসান খান, ডা. ইকবাল আর্সলান, শরফুদ্দিন আহমেদ, সহিদ আকতার হুসাইন, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, শ ম রেজাউল করিম, নাসরিন আহমাদ, কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, নিসার হোসেন, ড. নাজমা শাহীন, ড. মো. আখতারুজ্জামান, কে এম সাইফুল ইসলাম খান, ফিরোজা ইয়াসমীন, এ কে এম গোলাম রব্বানী, মো. কামাল উদ্দিন, জীনাত হুদা, আবদুস সবুর ও গোলাম কুদ্দুস ।
তারপর আসুন ইনাদের ভাষ্য শুনি “‘অতি সম্প্রতি সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের অধ্যাদেশে তৃতীয়বারের মতো যে সংশোধনী এনেছে, তা নিয়ে যে কেউ ভিন্নমত পোষণ করতেই পারেন। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে তাদের এই অবাঞ্ছিত চাপ প্রয়োগ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা স্বাধীন দেশের কোনো নাগরিকের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় তাই দেশ বাশিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান বিশিষ্ট নাগরিকেরা” ।
দালালের দালালিতে আমার কোন সমস্যা নাই কেননা দালালিই যখন দেশের সবচেয়ে লাভজনক পেসা তখন দালালির চেষ্টা সবাই করবেই এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই কিন্তু কষ্টের এবং দুঃখের জায়গাটি হল দেশ্তির কথাতো একবার ভাববেন নাকি ?
ইউনুসের খেয়াল মাথা থেকে ছাড়েন কতবার বুঝান লাগবে আর ? আর কয়বার প্রমান করবেন যে মেধার মূল্য আমরা দেই না ?
অবশ্য ঠিক যেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান খালেদা আর হাসিনা সেইখানে ইউনুস কেন যদি শেক্সপিয়ারও হতেন সেও নিরাপদ হতেন না ।
মোটামুটি এদের পরিচয় তথা সরকারের সাথে এদের সহ অবস্থানের কথা সকলেরই জানা তবুও বলবো ভাল লাগে দেশের বিশয়ে সুশীল সমাজ এক হলে এবং জনমত গড়ে তুললে ।
আবার কষ্টও লাগে যখন দেখি এরুপ সুশীল সমাজের কু উদ্দেশে সাজান এই সব অশ্লীল আচরন ।
প্রশ্ন তখন তুলতে হয় না বরং উঠে যায় যে কথায় থাকেন এই সুশীলরা এই জনমত গঠনের প্রশ্নে যখন –
• দেশের মানুষ সিমান্তে মরে ।
• যখন আমাদের দ্রব্যমূল্য ক্রয় সীমানার উপরে উঠে ।
• রেন্টাল বিতদুতের নামে হাজার কোটি টাকা লস হয় (আত্মসাৎ) ।
• টিপাইমুখে বাধ হয় নির্বিচারে ।
• দুর্নীতির দায়ে যখন পদ্মা সেতু আটকে থাকে ।
• বাংলার মানুষ যখন অনাহারে দিন কাটায় ।
• দুই নেত্রীর ঝগড়া মিটাতে যখন সামান্য কূটনৈতিক এর কাছে ধরনা দেয় ।
• হিলারি , মরকেল যখন আপত্তি জানায় এক ব্যাক্তির অপসারনের ব্যাপারে।
• মানুষ যখন দেখে কত নির্লজ্জ ভিক্কুকের মত অপমান করে আবার সেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেই তেল মারে।
• রেলগাড়ির চাকা আর কয়লা বিক্রির টাকা সহ যখন মন্ত্রী ধরা খায় ।
• চুক্তির পানি যখন পায় না বাংলাদেশ কিংবা গ্যাস পাচারের যখন পায়তাড়া কোড়া হয় ।
যাই হোক আর মনেও করতে পারছিনা কত যে দেশীও ও আন্তর্জাতিক ইস্যু আছে যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিশ্বের দরবারে । কিন্তু সেদিকে কিন্তু আমাদের সুশীল সমাজ মনজগ দিচ্ছেন না এবং কোনও জনমত গরেছেন বলেও মনে পড়ে না । অন্তত ইনাদেরকে তো দেশের এসব প্রয়োজনীয় কাজে কথা বলতেই দেখা যায় নি ।
সুতরাং ওইখান থেকেই প্রশ্ন উঠে যে এরা সুশীল না দালাল ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।