কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
দক্ষ জনশক্তির প্রকৃতি কি হওয়া উচিত। রিক্রুটিং এজেন্সি গুলো যেভাবে বিদেশ গমনেচ্ছুদের প্রতারিত করে অধিক পরিমানে মুনাফা অর্জন করছে। অনভিজ্ঞ শ্রমিকদের বিদেশ পাঠিয়ে আমাদের শ্রম বাজার এর দূর্নাম ঘটাচ্ছে। এই শ্রেনীর অসাধু আদম ব্যাবসায়ীদের রুখতে হবে।
যে দেশে প্রবাসী শ্রমিকের প্রেরিত রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
তাদের সহযোগিতা করতে কেউ এগিয়ে আসছে না।
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানূষ তার আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং স্বাবলম্ভীতার জন্য কর্মসংস্থানের খোঁজে প্রতিদিন বিদেশ যাচ্ছে। সৎ উদ্যোগ সরকারের আন্তরিকতাই দিতে পারে একটি শক্তিশালী সক্ষম জনশক্তি।
যদিও বিভিন্ন সরকারের আমলে শ্রমশক্তি রপ্তানীর অনেক প্রস্থাবনা আলোর মুখ দেখেনি। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ বেকার শ্রমিক বিদেশ যাওয়ার পিছনে তাদের অবদান কতটুকু তা প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়।
এই শ্রমশক্তিকে অধিকতর শক্তিশালী করতে হলে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়।
বিভিন্ন থানা ও জেলা পর্যায় বিদেশী চাহিদা মোতাবেক শ্রম ব্যাংক স্থাপন করতে হবে। দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী প্রশিক্ষন এর ব্যাবস্থা করতে হবে।
রিক্রটিং এজেন্সি গুলোকে না দিয়ে যদি দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে যে দেশের শ্রমশক্তির প্রয়োজন তারা তাদের চাহিদা মতো দুতাবাস গুলোকে প্রকাশ করতে হবে। তাদেরকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তি করতে হবে।
ইউরোপ আমেরিকা ছাড়াও পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যেখানে দক্ষ জন শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। শুধু শ্রমিক পাঠালে হবে না । তাদের ভাষাগত সামাজিক এবং উন্নত প্রযুক্তির সম্পৃক্ততায় অভ্যাস্ত করে তুলতে হবে। যাতে সেই শ্রমিক বিদেশ গিয়ে অচল হয়ে না পড়ে।
একজন শ্রমিক যদি তার কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন বা যথাযত ভাবে প্রশিক্ষিত হতে পারে তাহলে সেই শ্রমিক বিশ্বায়ন এর প্রক্রিয়ায় একজন বিশ্ব নাগরিক।
প্রতিটি শ্রমিককে বিশ্ব নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিটি দক্ষ শ্রমিককে করতে হবে সারা বিশ্বে ভিসা মুক্ত নাগরিক। তারা যত দক্ষ হবে এই দাবী ততই শক্তিশালী হবে।
দারিদ্রতাই সন্ত্রাসবাদের মূল কারন। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর দারিদ্রতা চিরতরে বিমোচন করতে হলে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলা প্রয়োজন ।
এ ব্যাপারে উন্নত বিশ্বকে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
আমরা উন্নত বিশ্ব সম্পর্কে যতটুকু জানি তারা আমাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা। তাই বাংলাদেশের নাগরিক সব সময়ই একজন বিশ্ব নাগরিক। আমাদের দক্ষ শ্রমিকদের সুবিধা করে দিতে অবকাঠামোগত এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে হবে। সেখানে থাকবে বিভিন্ন কাজের উপর প্রশিক্ষন এবং সার্টিফিকেট বিতরন।
এই সার্টিফিকেটই বলে দেবে। সে কোন দেশে দক্ষ জনশক্তি হিসাবে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।