সমাজকে বদলানোর জন্য নিজেকে আগে বদলানো প্রয়োজন। আসুন আমরা সবাই বদলে যাই সত্যের আলোয়।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। এ দেশে প্রায় ১৫ কোটি মানুষের বসবাস। এদের মাঝে রয়েছে এক বিশাল জনগোষ্ঠী যারা হিজড়া।
এরা মাঝে মাঝে মানুষের সাথে এ রকম ব্যবহার করে যখন স্বাধীন বাংলাদেশটিকে মনে হয় পরাধীন। গাজীপুরের টংগী বাজারে এমনি হাজারও ঘটনা যাতে ফুটে উঠে হিজড়াদের দ্বারা সাধারণ মানুষ নানাভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে। তেমনি একটি ঘটনা ২০০৪ সালের মাঝামাঝি দিকের টংগীর আনারকলি রোডের মোল্লা বাড়িতে ভাড়া থাকত রহিম নামের এক লোক। তার স্ত্রী ছিল গর্ভবর্তী। তো হিজড়ারা মাঝে মাঝে টংগীর বিভিন্ন মহল্লায় এসে খোজ খবর নিয়ে যেত কোন কোন বাসার কোন কোন মহিলারা গর্ভবর্তী।
তো যারা গর্ভবর্তী থাকত তাদের চিনে চলে যেত। তারপর যখন তাদের ডেলিভারীর পর বাচ্চা জন্ম নিত। তখন ঐ সমস্ত পরিবারের নিকট এসে বিশাল আকারের টাকা দাবি করত। যদি তারা ঐ বিশাল আকারের টাকা দিতে অস্বীকার করত। তবে তাদের উপর নানা অত্যাচার করত।
ঠিক তেমনিভাবে রহিমের স্ত্র্রীকে গর্ভবর্তী তাকে ও শনাক্ত করে গেল। এবং বলে গেল যে তাদের ডেলিভারীর পর হিজড়ারা আবার আসবে। তো রহিমের স্ত্রী চিন্তা করল আশে পাশের বাসায় বাচ্চা হলে হিজড়ারা এসে যে টাকা দাবি করে তাতো আমার স্বামীর পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। কারণ তার স্বামী একজন সীমিত আয়য়ের মানুষ। ফরে তাকে হিজড়াদের দ্বারা অত্যাচারিত হতে হবে।
তাই তিনি বাচ্চা সময় হওয়ার একমাস আগে বাপের বাড়ি চলে গেলেন। কিছুদিন পর হিজড়ারা এসে দেখল সে রহিমের স্ত্রী দেশে চলে গেছে। তাই রহিমের স্ত্রীকে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে চলে গেল। এবং তারপর হতে প্রতিদিন তারা দিনে এসে একবার করে খবর নিয়ে যেত রহিমের স্ত্রী বাসায় এসেছে কিনা? তো কিছূদিন পর রহিমের স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে বাচ্চা সহ চল আসল। পরের দিন হিজড়ারা এসো তো তাকে পাকড়াও করে ধরল।
কেন সে বাচ্চা জন্ম দিতে দেশে চলে গেল? এতদিন কেন তাদের প্রতিদিন তার খবর নিতে এ বাসায় আসতে হয়েছে? এ জন্য তারা অকথ্য ভাষায় রহিমের স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে লাগল। একজন হিজড়া টান দিয়ে রহিমের স্ত্রী কোল থেকে বাচ্চা নিয়ে তাদের কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করল। তো সে সময় রহিম বাসায় না থাকায় রহিমের স্ত্রী পক্ষে ৫০০০ টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বললে তারা রহিমের বাচ্চাটিকে গ্যাসের চুলার আগুনের উপর নিয়ে বাচ্চা মেরে ফেলার হুমকি দিল। এবং বাচ্চাটিকে গ্যাসের চুলার আগুনের উপর ধরে রাখল। এতে রহিমের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে প্রচন্ড মারধর করা হল।
এবং তারা টাকা না পেলে কোন অবস্থায় যাবে না বলে অটল রইল। এবং রহিমের স্ত্রীর গায়েও হাত তোলল। তো আশে পাশের লোকজন এ অবস্তা দেখে একজন প্রতিবেশী ১৫০০ টাকা দিয়ে হিজড়াদের তাড়িয়ে দিল।
এখন আমার প্রশ্ন হল একজন সাধারন যার দিন আনতে পানতা ফুরায় এ সমস্ত লোকদের হিজড়ারা পরিস্তিতির স্বীকার করে এভাবে অত্যাচার করা কি আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে সমর্থন করে?
এটা তো এক রহিমের স্ত্রীর ঘটনা এ রকম হাজারও রহিমের স্ত্রী রয়েছ রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত এ ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আমাদের দেশের সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি একটু নজর দিবেন?
পরবর্তিত এ বিষয়ের আরও নান ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।