স্টাফ রিপোর্টার, মানবজমিন: বাসে ওঠা নিয়ে বাস ভাঙচুর করেছে একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা গতকাল দুপুরে রাজধানীর শ্যামলী এলাকার। দুপুর আড়াইটা থেকে ৩টা পর্যন্ত তারা মিরপুর সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর চালায়। পুলিশও ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
পুলিশের লাঠিচার্জ ও ইটপাটকেলের আঘাতে ৫-৬ ছাত্র আহত হয়েছে। এ সময় গাবতলী থেকে আসাদগেট ও আগারগাঁও সড়কে সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতার প্রায় এক ঘণ্টা পর ওই সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পুলিশ, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্যামলী শিশুমেলার বিপরীতে অবস্থিত আশা ইউনিভার্সিটির দুই ছাত্র আনসার ক্যাম্প থেকে ট্রান্স সিলভা পরিবহনের একটি বাসে এক টিকিটে উঠতে চাইলে বাস কন্ডাক্টর তাদের বাধা দেয়। ছাত্র পরিচয় দিলেও বাস কন্ডাক্টর তাদের বাসে উঠতে না দেয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে কন্ডাক্টর এক ছাত্রকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। এরপর ছাত্ররা শিশুমেলার সামনে ট্রান্স সিলভা ও বাহন পরিবহনের ২টি বাস ভাঙচুর করে। ভার্সিটি থেকে ছাত্ররা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় পাশের ফাঁড়ির পুলিশ দুই ছাত্রকে আটক করে। এতে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে ছাত্ররা।
আরও সাতটি বাসে ভাঙচুর চালায় তারা। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে ছাত্ররা। পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ছাত্ররা দাবি করেন, প্রক্টরের অনুমতি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ।
এ ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে আসতে নির্দেশ দেয়। তেজগাঁও জোনের পুলিশ উপকমিশনার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মাইনউদ্দীনের সঙ্গে আলোচনা করেন। দু’পক্ষের সমঝোতার পর আটক ছাত্রদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। ছাত্ররাও তাদের অবস্থান প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বি.দ্র. সকালে মানবজমিনে সংবাদটা পড়ে খুব অবাক লাগলো। একটু সংকিতও বটে। যদি ছাত্রদের সঙ্গে এরকম আচরণ করা হয় তবে আমাদের জন্য তো বাসে চড়া আরো বিপজ্জনক। এমনিতেই মহিলা সিট নিয়ে যে কান্ডকারখানা হয় রোজ! এরপরও বলবো আমরা সভ্য সমাজে বাস করছি, সভ্যতাকে যেনো ধরে রাখতে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।